বর্তমানে ডিএ শূণ্য। ডিএ বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই রাজ্যের। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বর্ধিত বেতন মিললেও ডিএ পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারি কর্মীরা। জানুয়ারি মাস থেকেই বর্ধিত বেতন পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে বাড়ির ভাড়ার ১৫ শতাংশ অনুদান কমিয়ে ১২ শতাংশ করেছে রাজ্য। ফলে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে।

বেতন কমিশনের সুপারিশ মত নতুন হারে বেতন পেয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। তবে প্রথমবারের মত এবার ডিএ ছাড়াই বেতন হাতে পেলেন রাজ্যের কর্মীরা। এই ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম- যে বেতন এর স্লিপে ডি এ-র কলাম উধাও। অর্থ দফতরের অধীনে ‘পে অ্যান্ড অ্যালাউন্স থেকে’ প্রথম বারের মত মুছে ফেলা হয়েছে মহার্ঘভাতার কলাম। পে-স্লিপ থেকেও গায়েব ‘ডিএ’ লেখা। অনেকে বলছেন- রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কর্মচারীরা মুখোমুখি হলেন ডিএ-হীন বেতনে। 

জানা গেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মূল বেতনের উপর ১২৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন। জানুয়ারি মাস থেকে ওই ডিএ মূল বেতনের সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে আপাতত বেতনের সঙ্গে কোনও ডিএ থাকছে না বলে মনে করছে সরকারি মহল। এখনও পর্যন্ত নতুন করে ডিএ দেওয়ার কোনো নির্দেশিকা জারি করেনি অর্থ দপ্তর।

অন্যদিকে সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে  রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য দারুণ সুখবর দিয়েছিলেন রাজ‍্য সরকার। এবার থেকে রাজ‍্যের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাঁদের নিজের জেলাতেই পোস্টিং দেওয়া হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ‍্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, নিজের জেলায় পোস্টিং বা বদলি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা এবং সৃষ্টি হয়েছে নানান সমস‍্যার। আবার উল্টোদিকে পোস্টিং নিয়ে সমস্যার জেরে বহু সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছুটি নেওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যায় পড়েছে শিক্ষা দফতরও। এই প্রসঙ্গে মাস কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়েছিল।

তবে এই নিজ জেলায় বদলিতেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন- নিজের জেলায় বদলি করে হয়তো ডি এ'র পর এইচ আর এ (HRA) তুলে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় আলোচনাও চলছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানিয়েছেন- " HRA  হয়তো বাদ যাবে না, তবে % কমতে পারে ইনক্রিমেন্ট দেবার সময় এরকম রোপা বেরোনোর আগে শুনেছিলাম, আর আমাদের একবার ফর্ম ফিলাপ হয়েছিল যেখানে নিজের বাড়ি, প্যারেন্টাল হাউস এরকম অপসন ছিল।"

আর আশঙ্কাই সত্য হল এবার। বাড়ির ভাড়ার ১৫ শতাংশ অনুদান কমিয়ে ১২ শতাংশ করেছে রাজ্য।আগামীতে এই অনুদান থাকবে কিনা তাই নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সরকারি কর্মী মহলে। একেই ডিএ পাচ্ছেন না, তার উপর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ি ভাড়ার ভাতা। ফলে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখল কর্মচারী সংগঠন। রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বর্ধিত বেতন কবে পাওয়া যাবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- DA এর পর HRA হারাতে চলেছেন শিক্ষকরা !