গৌতম সাহা,হুগলীঃ
বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দাপটে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে হু হু করে কমছে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা।বিশেষ করে একটু সচেতন ও আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, যেগুলি কিন্ডারগার্টেন স্কুল নামে পরিচিত,ভর্তি করাতে বেশী উৎসাহী।প্রাথমিক ভাবে শহর বা শহরতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে এই সমস্যা থাকলে সম্প্রতি গ্রামে গঞ্জে এই রুপ বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ছড়াছড়ি।তাদের শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও চাকচিক্য ও অভিনবত্বে তারা টেক্কা দিচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে।তাই বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সেই সব বিদ্যালয়েই নিয়ে যেতে চাইছেন। তাই এই সব বেসরকারি স্কুল গুলি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

      এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে নতুন আলোর দিশা দেখাতে এগিয়ে আসছেন সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উৎসাহী প্রাথমিক শিক্ষক,শিক্ষিকারা। তারা নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলছেন ডিজিটাল ক্লাসরুম, প্লে স্কুল বা কোন কোন স্কুলে কম্পুউটার শিক্ষা।তবে শিক্ষা দপ্তরও যথেষ্ট উৎসাহ যোগাচ্ছেন এই উদ্যোগকে। যেভাবে বেসৱকাৱি স্কুলেৱ সাথে পাল্লা দিয়ে এই উদ্যোগের সংক্রমন ঘটছে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে,হলপ করে বলা যায় আগামিদিনে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই কিন্ডার গার্টেন স্কুল গুলিতে তালা ঝুলতেই চলেছে।

আজ সেরকম একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেটি হুগলি জেলাৱ খানাকুল পশ্চিম চক্ৰে অবস্থিত 'মহিষঘোট বি .কে .মোদক প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে' উদ্ধোধন হয়ে গেল স্মার্ট ক্লাসরুম ও প্লে-স্কুলের।
উদ্ধোধন করলেন ঐ চক্রের মাননীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মাননীয় আবিদ হোসেন মহাশয়। তিনি এই উদ্যোগের ভূয়ষী প্রশংসা করেন ও উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের এই নয়া প্রযুক্তিগত ব্যাবস্থার ভাল দিকগুলি তুলে ধরেন।তিনি আশা করেন যে বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগে অন্যান্য বিদ্যালয়গুলিও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন।

স্কুলটি প্ৰত্যন্ত গ্ৰামে অবস্থিত এবং বেশীৱ ভাগ ছাত্ৰ-ছাত্ৰী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত,খুব দৱিদ্ৰ। এই স্কুলে বর্তমান ছাত্ৰ ছাত্ৰী সংখ্যা ৭৮ জন ।স্কুলটি ২০০৭ সালে স্থাপিত হয় ।স্কুলটি এবছর পঞ্চম শ্ৰেনিৱ অনুমোদন পেয়েছে আর উন্নত পরিকাঠামো গড়ে ওঠায় ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা এবার যথেষ্ট সংখ্যায় যে বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী তন্ময় ঘড়ুই জানালেন-"এই ডিজিটাল ক্লাস রুম ও প্লে ক্লাস রুম তৈৱী কৱতে খৱচ হয় প্ৰায় ৪০,০০০ টাকা ।প্ৰজেকটৱ, পৰ্দা ,সাউন্ড সিস্টেম ,ইলেকট্ৰিক কাজ ,ছবি আঁকা ও অন্যান্য খৱচ বাবদ এই টাকা খৱচ হয় । স্কুলেৱ কম্পোজিট গ্ৰান্ড বাবদ পাওয়া ২৫০০০ টাকার বেশীর ভাগ টাকা দিয়ে বাকি টাকা সমস্ত শিক্ষকরা মিলে জোগাড় করে এই সাধু উদ্যোগকে রুপদান করেছেন।

ভবিষ্যতে তারা সবাই মিলে প্লে এডুকেশনাল পার্ক ও কম্পুউটার শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো গড়ার উদ্যোগী হবেন বলে জানা গেছে।