নাগরিকত্ব বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে নাগরিকত্ব আইনে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে রাজ‍্যসহ সারা দেশজুড়ে বিক্ষোভ, আন্দোলন ও মিছিল সংগঠিত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় সহিংস আন্দোলন, ভাঙচুর ও সরকারী সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবি তোলে।

আজ কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতা করে-জামিয়া মিলিয়া  বিশ্ববিদ্যালয় ও  আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পুলিশের অমানবিক আচরণ এবং গুলি চালানোর বিরুদ্ধে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল নেতৃত্বসহ প্রায় সকল ছাত্র ছাত্রী এদিনের মিছিলে অংশগ্রহন করে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতা করে, সঙ্গে এন আর সি না করার দাবি তোলে। 

নো এন আর সি, নো ক‍্যা, নো এন পি আর স্লোগানে বারবার মোদী সরকারকে ধিক্কার জানান ।  দুলাল, সাগর, রাখিরা জানান, "বিজেপি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের নামে ধর্মীয় বিভাজন করার চেষ্ঠা চালাচ্ছে। ওরা ভুলে গেছে আমরা ভারতবাসী। ধর্মনিরপেক্ষ এ দেশ, ধর্মীয় বিভাজন কখোনো সায় দিবো না আমরা। অতিসত্বর নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে হবে। এন আর সি বন্ধ করতে হবে। যতদিন না বাতিল হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন অব‍্যাহত থাকবে। দেশ রক্ষার এ লড়াই আমরা চালিয়ে যাবোই যতই বাধা আসুক"।