CBSE-এর দশম পরীক্ষায় বড় বদল! জানুন বিস্তারিত
সিবিএসই-এর নতুন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার ফর্ম্যাট শিক্ষার্থীদের আরও নমনীয়তা এবং তাদের স্কোর উন্নত করার আরও সুযোগ দেয়, যার ফলে তাদের সামগ্রিক একাডেমিক পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার বোর্ড ঘোষণা করেছে যে, ২০২৬ সাল থেকে, কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (CBSE) বছরে দুবার দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণ করবে। প্রথম ধাপটি বাধ্যতামূলক হবে, এবং দ্বিতীয় ধাপটি ঐচ্ছিক হবে, যা শিক্ষার্থীদের তাদের ফলাফল উন্নত করার সুযোগ দেবে। দুটি ফলাফলের মধ্যে যেটি ভালো হবে তা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে একবার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরিচালিত হবে।
এই পদক্ষেপ দেশের শিক্ষা কাঠামোর একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এর উদ্দেশ্য হল পরীক্ষা-সম্পর্কিত চাপ কমানো, শিক্ষার্থীদের আরও নমনীয়তা প্রদান করা এবং সামগ্রিক শিক্ষার ফলাফল উন্নত করা।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এখন কী পরিবর্তন?
শিক্ষার্থীদের জন্য আরও নমনীয়তা এবং চাপ কমানো: নতুন সিবিএসই পরীক্ষার ফর্ম্যাটটি শিক্ষার্থীদের আরও নমনীয়তা এবং তাদের একাডেমিক পারফর্ম্যান্স উন্নত করার আরও সুযোগ দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দুটি পরীক্ষার সেশনের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে, কাঠামোটি একটি উচ্চ-স্তরের পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত চাপ কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের উন্নতির সুযোগ প্রদানের লক্ষ্য রাখে।
শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মূল্যায়ন পদ্ধতি: পরীক্ষার নীতিতে এই পরিবর্তন শিক্ষাকে আরও শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক করার জন্য সিবিএসইর প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। চাপ কমিয়ে এবং আরও ভাল শেখার ফলাফল প্রচার করে, বোর্ড ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। দ্বিবার্ষিক পরীক্ষার ফর্ম্যাটটি শেষ মুহূর্তের ঝামেলার পরিবর্তে সারা বছর ধরে স্থির, ধারাবাহিক শেখার জন্য উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি একাডেমিক অর্জন এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক মানসিক সুস্থতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম পরীক্ষার পর্যায় বাধ্যতামূলক, দ্বিতীয় ঐচ্ছিক: সংশোধিত কাঠামো অনুসারে, দশম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে উপস্থিত হতে হবে। এটি নিশ্চিত করে যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি মৌলিক স্তরের মূল্যায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে, দ্বিতীয় পরীক্ষার অধিবেশন ঐচ্ছিক থাকবে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাথমিক ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে উন্নতির চেষ্টা করতে পারবে।
সেরা পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফলাফল: নতুন নীতিমালার অধীনে, চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বিবেচিত দুটি প্রচেষ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের সেরা পারফরম্যান্স থাকবে। এই ব্যবস্থা তাদের শাস্তির ভয় ছাড়াই উন্নতির উপর মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দেয়, যা একটি ন্যায্য এবং আরও সুষম মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রদান করে।
প্রস্তুতি সমর্থন করার জন্য ফলাফলের সময়সীমা: প্রথম পরীক্ষার পর্যায় ফেব্রুয়ারিতে এবং দ্বিতীয়টি মে মাসে নির্ধারিত। প্রথম পর্যায়ের ফলাফল এপ্রিলে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলাফল জুনে ঘোষণা করা হবে। এই সময়সীমা শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেয়, যা প্রক্রিয়াটিকে মসৃণ এবং কম চাপযুক্ত করে তোলে।
বিভিন্ন শেখার গতি সমর্থন করে: এই সংস্কারকৃত পরীক্ষা ব্যবস্থা স্বীকার করে যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গতিতে শেখে। পরীক্ষা দেওয়ার এবং আরও ভাল স্কোর নির্বাচন করার দুটি সুযোগের সাথে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার গতি আরও ভালভাবে করতে পারে। অতিরিক্ত নমনীয়তা কর্মক্ষমতার চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে যাদের আরও সময় বা সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
বছরে একবার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে: বৃহত্তর পরিবর্তনের অংশ হিসেবে, সিবিএসই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন কেবল একবারই শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এই সরলীকরণের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের কাজের চাপ কমানো, একই সাথে একটি সুসংগত এবং ন্যায্য মূল্যায়ন ব্যবস্থা বজায় রাখা। শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন একটি মূল উপাদান হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊