নিজস্ব প্রতিনিধি - বেরোচ্ছে না গভঃ স্পনসরড/ এইডেড শিক্ষকের রোপা। এমনিতেই শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তারই মধ্যে আজ বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান সাফ জানিয়ে দিল যে যদি তাদের জন্য নির্ধারিত রোপায় ৯০০০-৪০৫০০ পে স্কেল ও ৪৬০০ গ্রেড ধরে হিসেব না করা হয় তাহলে রোপা বেরোনোর পর পর ই তারা আমরণ অনশনে বসবেন ও যে সমস্ত স্কুলে গ্র্যাজুয়েট টিচার রাই উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষক/শিক্ষিকা আছেন সেখান থেকে গন ইস্তফা দেবেন।
বিজিটিএ'র এই সীদ্ধন্তে পশ্চিম বঙ্গের প্রচুর সংখ্যক স্কুল অদুর ভবিষ্যতে বিপাকে পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারন এন সি টি ই 'র নিয়ম অনুযায়ী গ্র্যাজুয়েট টিচার রা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াতে বাধ্য নন,কিন্তু ছাত্র ছাত্রী তথা স্কুলের স্বার্থে প্রচুর সংখ্যক স্কুলে গ্র্যাজুয়েট টিচার রাই উচ্চ মাধ্যমিকে ক্লাস নেন।এমনি উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখেন, স্ক্রুটিনি ও করেন। এখন বিজিটিএ'র সীদ্ধান্ত কার্যকর হলে ঐ সমস্ত স্কুল গুলিতে বাংলা ইংরেজি সহ বেশ কিছু বিষয়ে পঠন পাঠন শিকেয় উঠতে পারে। শারীরশিক্ষা সহ বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলির জন্য এখনো পর্যন্ত কোন শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না, গ্র্যাজুয়েট টিচাররাই বিষয় গুলি ধরে রেখেছেন। গ্র্যাজুয়েট টিচার রা ক্লাস নিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলিতে পঠন পাঠন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে!
আজ বিজিটিএ' তরফে সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, "আমরা স্কুলের স্বার্থে শতকরা ৮০ শতাংশ স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস নিই, এবং বিষয়গুলি ধরে ও রাখি। কিন্তু আমাদের সাথে করা হচ্ছে চুড়ান্ত প্রবঞ্চনা। আমাদের জন্য নির্ধারিত টিজিটি স্কেল আমাদের দেওয়া হয় না দীর্ঘ দু দশক ধরে। সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন, আইনানুগ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন, এমনকি হাই কোর্টে ম্যান্ডামাস জারী হওয়ার পর ও যদি আবার আমরা বঞ্চিত হই তাহলে চরম সীদ্ধান্ত তো নিতেই হবে! আমরা সমস্ত রকম মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি।তাকিয়ে আছি শুধু শিক্ষা দপ্তরের রোপা'র দিকে। ঐ রোপায় আমরা যদি ৯০০০ থেকে ৪০৫০০ পে স্কেল ও ৪৬০০ গ্রেড পের হিসাব ধরে ২০০৬ থেকে নোশানাল বেনিফিট সহ পে স্কেল না পাই তাহলে সাথে সাথেই আমরণ অনশনে বসব,এবং ঠিক তার আগের দিন সারা পশ্চিম বঙ্গে সমস্ত গ্র্যাজুয়েট টিচার রা উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে ইস্তফা দেবেন।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊