ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান জেলা কমিটির ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডি আই কে ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি চলেছে। গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের দুই দশকের অমানবিক বেতন বঞ্চনার কারনে গ্র‍্যাজুয়েট ক্যাটেগরি টিচাররা দু বছর আগে তৈরী করে অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন 'বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান" সংক্ষেপে বিজিটিএ।  জন্ম লগ্ন থেকে বিজিটিএ টিজিটি স্কেল(৯০০০-৪০৫০০ গ্রেড পে ৪৬০০) ও কেরিয়ার এডভ্যান্সমেন্ট স্কিম(চাকুরী জীবনের তিনটি পদোন্নতি:- ৮-১৬-২৫ এর সুবিধা) জন্য আন্দোলনের ময়দানে নেমে পড়ে। কিন্তু তাদের সব আশায় জল ঢেলে দেয় বর্তমানে ঘোষিত পে কমিশন।  গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর  ক্যাবিনেটে পে কমিশন  পাশ হওয়ার পর থেকেই বিজিটিএ'র বিভিন্ন জেলা সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
ইতিমধ্যে হাই কোর্ট ম্যান্ডামাস জারী করে রাজ্যকে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের বেতন বৈষম্য দূর করতে বলে রায়দান করেন।
আরও পড়ুন
টিজিটি স্কেল দেওয়া ও আপার প্রাইমারি স্টেটাস বাতিল করার দাবীতে
 কোচবিহারে ডেপুটেশন BGTA এর 
কিন্তু সেই রায় কে পাত্তা না দিয়ে সরকার যে পে কমিশন  ঘোষনা করে তাতে গ্র‍্যাজুয়েট টিচাররা অরো বঞ্চিত হয়। পে কমিশনের পে মার্টিক্স অনুযায়ী একজন পিজিটি ও টিজিটি টিচারের ইনিশিয়াল বেসিকের তফাৎ ৯২০০ টাকা। এই তফাৎ সারা ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে কমবেশী ২৭০০ টাকা।

তাই বিজিটিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ৩,৪ এবং ৫ নভেম্বর বেতন বৈষম্য রোধ , CAS facility প্রদান ও অন‍্যান‍্য দাবিতে শহীদ মিনার পাদদেশে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচির। সংগঠনের পক্ষথেকে জানানো হয়েছে একবিংশ শতাব্দীর সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ অবস্থানের সূচনা হতে যাচ্ছে ৩রা নভেম্বর থেকে। রাজ্য কমিটির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মন্ডল জানিয়েছেন- 
"৩,৪,৫ এর এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার কে আমাদের চরম বার্তা দিতেই হবে--আমরা অরাজনৈতিক। আর সেই জন্যই আমরা আমাদের দাবী পুরনে যে বা যারা এগিয়ে আসবে তাদেরকেই স্বাগত জানাবো-- সে রাম,শ্যাম, যদু, মধু যেই হোক না কেন! কারন আমাদের কাছে সব চেয়ে আগে বহু কাঙ্ক্ষিত টি.জি.টি." 

ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে রওনা দিয়েছেন বহু শিক্ষক। এখন দেখার আগামী ৩ দিন বিজিটিএর বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি সরকারের কাছে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।