ছয় শত গ্র‍্যাজুয়েট টিচারের করা মামলার রায়, ও পরে বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর একটি মামলায় রিট অফ ম্যান্ডামাস জারী করে মহামান্য হাইকোর্ট। ম্যান্ডামাসে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের বঞ্চনা দূর করে টিজিটি স্কেল দিতে বলে রাজ্য অর্থ দপ্তর কে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঘোষিত পে কমিশনে সেই সংক্রান্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি বা এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি-- দাবী বিজিটিএ 'র। এদিকে গত ১৬/০৯/১৯ তারিখে প্রিন্সসিপ্যাল সেক্রেটারি, স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট 214-SSE নামে এক নির্দেশিকা বলে সমস্ত গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের আপার প্রাইমারি স্টেটাস দিয়ে ওয়েব এনাবেল্ড স্টাফ প্যাটার্ন তৈরী করার জন্য সমস্ত  হেডমাস্টারদের কে নির্দেশ দেয়। 
এরই প্রতিবাদে আজ বিজিটিএ' ডাকে কোচবিহার জেলার বৃহত্তম গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ করেন ও ডি আই কে ডেপুটেশন প্রদান করেন। 
স্লোগান ওঠে টিজিটি স্কেল দেওয়া ও আপার প্রাইমারি স্টেটাস বাতিল করার স্লোগান।তারা বিকেল ৩ টা নাগাদ কোচবিহারের ডি আই কে ডেপুটেশন দেন। বিজিটিএ'র জেলা নেতৃত্ব পুলক সরকার বলেন "আমরা গ্র‍্যাজুয়েট রা আইনত 13(a) স্কেলের(৯০০০-৪০৫০০ গ্রেড পে ৪৬০০) দাবীদার যেটা টিজিটি স্কেল! পশ্চিম বঙ্গে আমরা ৫ম বেতন কমিশনে ৭১০০-৩৭৬০০ গ্রেড পে ৪১০০ পাই যেটা চুড়ান্ত বঞ্চনা। এ ব্যাপারে আমরা শিক্ষা মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করি, কিন্তু কোন লাভ হয় নি। এমন কি হাই কোর্টের ম্যান্ডামাস কে ও মান্যতা না দিয়ে একটা হ য ব র ল পে কমিশন ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা আজ কে সরকারকে এই বার্তা দিতে চাই যে এই পে কমিশনেই আমাদের বঞ্চনা দূর করতে হবে এবং নরমাল সেকশনে অ্যাপয়েন্টেড টিচারদের আপার প্রাইমারিতে ডিমোশন করা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। না হলে বিজিটিএ  চুড়ান্ত আন্দোলনের পথে হাঁটবে।"