কর্ণাটকের একটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রায় 50 জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল আটকাতে  কার্টন পরতে বাধ্য হয়েছিল-এমনই অভিযোগে উত্তাল নেট দুনিয়া।

হাভেরির জেলা  উপ-পরিচালক (ডিডিপিআই) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "ভগত প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীদের নকল আটকাতে পরীক্ষার সময় কার্ডবোর্ডের বাক্স (কার্টন) পড়তে বাধ্য করার জন্য ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে,"

হাভেরি রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বেঙ্গালুরু থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে বুধবার এই  ঘটনাটি প্রকাশ পায়, যখন একটি ভিডিও ক্লিপ শুক্রবার ভাইরাল হয়।

অনেকের বক্তব্য- "উদ্দেশ্য যাই হউক না কেন, তাদের (শিক্ষার্থীদের)  কার্টন পরানো যায় না। এটা একদম অমানবিক।'

কার্টনগুলির সামনের দিকটি অবশ্য শিক্ষার্থীদের শ্বাস নিতে এবং দেখার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছিল। তবে একই বেঞ্চে বসে থাকা অন্য শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র যাতে দেখতে বাম বা ডানদিকে উঁকি দেওয়া না যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার বলেছেন যে এ জাতীয় প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন-: "পশুর মতো শিক্ষার্থীদের সাথে এরূপ ব্যবহার করার কোনও অধিকার কারও নেই।"সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মতামতে সায় দিয়েছেন। "এটি শিক্ষার্থীদের জন্য হাস্যকর এবং অবমাননাকর। হ্যাঁ,গণটোকাটুকি একটি সমস্যা, তবে তা সমাধানের উপায় এটা নয়। যে বা যাঁরা এই ব্যবস্থার অনুমোদন করেছেন, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত", লেখেন একজন।

কলেজের প্রধান এম.বি. সতীশ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে বিহারের একটি কলেজ পরীক্ষার সময়  একই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এটির ব্যাপক প্রশংসা হয়েছিল। সেটি দেখেই অনুপ্রানিত হয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন "আমরা এটি পরীক্ষা মূলক ভাবে  কীভাবে কাজ করে তা দেখার চেষ্টা করেছি এবং শিক্ষার্থীদের আগাম জানিয়ে দিয়েছিলাম যে পরীক্ষার হলে লেখার আগে তাদের প্রত্যেককে বাক্স পড়ানো হবে।'