দুর্গাপুজোর পরেই বাঙালি মেতে ওঠে দীপাবলি উৎসবে । তারই প্রস্তুতি চলে জোর কদমে। কালীমূর্তি তৈরির পাশাপাশি পুতুল, মাটির প্রদীপ, তুবড়ির খোল তৈরির কাজ চলে পাশাপাশি। তবে দিনের পর দিন মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে যাওয়াতে চিন্তিত প্রদীপ তৈরির শিল্পীরা।
একদিকে মাটি এবং জ্বালানির কাঠের দাম যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে পরিবহণ খরচ। তার ওপর মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আগের মতো মাটির প্রদীপ কিনছে না।
বলরামপুর পাল পাড়ার গণেশ পাল বলেন- 'বাজারে চাইনিস বাল্ব কেনে সবাই, শুধু নিয়ম করার জন্য অল্প করে প্রদীপ কেনে।'
মাটির দাম, জ্বালানির দাম যে হারে বাড়ছে সে হারে মাটির প্রদীপের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না, কারণ তাতে আরও বিক্রি কমে যাবে। উভয় সঙ্কটে শিল্পীরা।
হাতে গােনা মাত্র কয়েকদিন। আর তারপরেই সারা দেশ সহ আপামর বাঙালি আলাের রােশনাইয়ে ঝলমলে হয়ে উঠবে। ২৭ অক্টোবর রবিবার ঘাের অমাবস্যায় অন্ধকারেই সেজে উঠবে আলােকমালা। কিন্তু যাঁদের তৈরি মাটির প্রদীপে এক সময় ঝলমল করত উৎসবের আঙিনায়, সেই মৃৎশিল্পীদের ঘরেই এখন অন্ধকার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊