সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ ভাইরাল হয়েছে ছবিটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে HDFC ব্যাংক কতৃপক্ষ একটা স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছে আর যাতে লেখা আছে- "the deposit of the bank are insured with DICGC and in case of liquidation of the bank, DICGC is liable to pay each depositer through the liquidator. the amount of his deposit upto rupees one lakh... from the date of claim list from the liquidator"
অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে যত টাকাই থাক, ভরাডুবি হলে একলক্ষ টাকার বেশি দায় নেবে না ব্যাঙ্ক। পাসবুকে স্ট্যাম্প মেরে ব্যাঙ্কের তরফে সেকথা জানিয়েও দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। ব্যাঙ্কের যুক্তি, ২০১৭ সালে আরবিআইয়ের এই নির্দেশিকা সব ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্কের পাসবুকে এমনই স্ট্যাম্প পড়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের কী জানাতে চাইছে ব্যাঙ্ক? বলা হচ্ছে, ডিআইসিজিসি নিয়মে ব্যাঙ্ক লিকুইডেশনে গেলে লিকুইডেটরের মাধ্যমে টাকা পাবেন গ্রাহক। আবেদনের ২ মাসের মধ্যে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মিলবে অর্থাৎ এক লক্ষ টাকার বেশি আমানতের ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ব্যাঙ্কের বক্তব্য, আরবিআইয়ের নির্দেশ মেনেই গ্রাহক সচেতনতায় এই পদক্ষেপ।
ব্যাঙ্কের মোট মূলধনের একটি অংশ আরবিআইয়ের কাছে জমা রাখতে হয়। এই তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আমানতের একটি অংশের বিমা করা হয়। এই বিমাতেই ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মেলে কিন্তু প্রশ্ন, ২০১৭ সালের নির্দেশিকার কথা ২০১৯ এর অক্টোবরে স্ট্যাম্প মেরে জানানোর প্রয়োজন পড়ল কেন? যা নিয়ে আতঙ্ক তৈরী হচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
জানাযায় ভারতীয় ব্যাংকের সমস্ত আমানতকারীর সুরক্ষার্থে মাননীয় মোরারজি দেশাই এর তত্বাবধানে ১৯৬১ সালে একটি আইন পাশ হয়, যাতে সমস্ত আমানতকারীর টাকা সুরক্ষার জন্য একটি বীমা সংস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালে এই আইন অনুসারে রিজার্ভ ব্যংকের তত্বাবধানে একটি সংস্থা গঠিত হয়, যার নাম- Deposit Insurance & Credit Guarantee Corporation (DICGC)।
শুধু HDFC ব্যাংক নয়, সব ব্যাংকই সর্বাধিক ১ লাখ টাকার দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে। ব্যাংক কোনদিন ডুবে গেলে ১ লাখের বেশি কোন টাকা পাওয়া যাবে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊