মিঠুন শর্মাঃ
বিজ্ঞান বলে, উচ্চগ্রামের শব্দ হল “গুপ্তঘাতক”নীরবে মানব শরীরে যা নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। অনিদ্রা, মাথা ঘােরা, রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, আন্ত্রিক গােলযােগ, হৃদগতির হার বৃদ্ধি, বৃক্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা হ্রাস, স্নায়ু বৈকল্য, মস্তিস্কে রক্তনালীর চাপ বৃদ্ধি ইত্যাদির অন্যতম কারণ হতে পারে উচ্চগ্রামের শব্দ। এছাড়াও উচ্চগ্রামের শব্দ মাতৃগর্ভস্থ জ্বনের অপূরণীয় ক্ষতিসাধনসহ ক্যান্সার জাতীয় রােগের দ্রুত বৃদ্ধিতে প্রভাব বিস্তার করে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত। বিজ্ঞানের এক সমীক্ষায় জানা গেছে- উচ্চগ্রামের শব্দ (১০০ ডেসিবেল) প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে কানে প্রবেশ করলে ৩০ বছরের মধ্যে বধিরতা আসে। আর শ্রমিকরা যারা উচ্চগ্রামের শব্দ উৎপাদনকারী কলকারখানায় নিত্য কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ৯০ ডেসিবেল বা প্রতিদিন চার ঘন্টা করে ৯৭ ডেসিবেল শব্দ কানে প্রবেশ করলে ওই একই ফল হয়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আজ দিনহাটার পথে নামলো জনজাগরণ মঞ্চ। 
'চরাস্বরে মাইক ও ডি.জে. বাজানাে বন্ধ হােক' এই দাবীতে প্রচার চালানো হয় দিনহাটা পাঁচমাথার মোড়ে। উপস্থিত ছিলেন  দীলিপ সাহা,হিটলার দাস,শিবু শর্মা, অমল মজুমদার, তপন অধিকারী প্রমুখ।