গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের ট্রেন্ড গ্র‍্যাজুয়েট টিচাররের মর্যাদা দেওয়া ও টিজিটি স্কেল দেওয়ার দাবীতে সর্ব প্রথম আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন হিসাবে বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান বা বিজিটিএ এখন একটি পরিচিত নাম। হাই কোর্টে ও একাধিক মামলা করে সফলতা পেয়েছে এই সংগঠন টি।পে কমিশনে টিজিটি প্রভিশন না থাকায় প্রতিটি জেলায় একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসুচী ও ডি আই ডেপুটেশন এর ডাক দিয়ে চলেছে  বিজিটিএ। বিজিটিএ'র তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে তারা আগামী ২২ শে অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও পরে ডি. আই. ডেপুটেশন কর্মসুচী'র আয়োজন করেছে! 
প্রসঙ্গত গতকাল পুর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ডি আই কে ডেপুটেশন  দেয় বিজিটিএ।  তাদের দাবী প্রথমে ডি.আই. ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করেন ও শিক্ষকদের 'চোর' প্রতিপন্ন করার চেষ্টা  করেন, পরে ডি আই কে ঘেরাও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ২২ শে অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডি আই ডেপুটেশন কর্মসুচী গ্রহন করে বিজিটিএ  পরোক্ষে নিজেদের দাবীর সপক্ষে সরকার কে চ্যালেঞ্জ জানালো বলে মনে করা হচ্ছে। ঐ দিন বিক্ষোভ সমাবেশে জনপ্লাবন ঘটবে বলে দাবী করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজিটিএ'র প্রধান নেতৃত্ব ও রাজ্য কমিটির  সদস্য শ্রী শংকর মান্না আমাদের সংবাদ দাতা কে বলেন," সরকার যদি হাই কোর্টের 'রিট অফ ম্যান্ডামাস' না মানেন তো আমরা এই পে কমিশন মানি না! কোর্টের রায় মেনে সরকার কে অবিলম্বে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের ৯০০০-৪০৫০০ ও গ্রেড পে ৪৬০০ ধরে হিসেব করে পে মার্টিক্স তৈরী করতে হবে, ও বিজিটিএ'র দেওয়া পে প্রোটেকশন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর  ( বর্তমান বেসিক×১.১৭ = নিউ বেসিক ×২.৫৭ / ইনিশিয়াল বেসিক ১৪৮৮০) কার্যকর করতে হবে। নইলে সারা পশ্চিম বঙ্গে শিক্ষক আন্দোলনের  আগুন জ্বলবে। তাছাড়া অবিলম্বে টিচার বিভাজনকারী ওয়েব বেসড স্টাফ প্যাটার্ন বাতিল ঘোষণা করতে হবে। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিজিটিএ হাই কোর্টের দারস্থ হয়েছে।" শংকর বাবু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের ২২শে'র বিক্ষোভ কর্মসুচীতে সামিল হওয়ার আহবান জানান।
 বিজিটিএ  সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "গতকাল পুর্ব মেদিনীপুর জেলা ডি আই টিচারদের উদ্দেশ্য যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে,নইলে এই ডি আই এর বিরুদ্ধে পুর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজিটিএ শীঘ্রই আন্দোলনে নামবে।" সরকার কে সতর্ক করে তিনি আরো বলেন, "আমাদের দাবী যে ন্যায় সঙ্গত তা হাই কোর্টে বহুবার প্রমানিত, তথাপি সরকার তাকে অবজ্ঞা করে যাচ্ছেতাই একটা পে কমিশন বের করেছে যাতে টিজিটি'র কোন উল্লেখ রাখা হয় নি। বিজিটিএ এর বিরুদ্ধে নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতে জালায় জেলায় আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসুচী চালু রেখেছে।  পুজার ছুটি শেষ হলেই বিজিটিএ লাগাতার ধর্না আন্দোলনে নামবে। যতক্ষন সরকার বিজিটিএ'র দাবী না মেনে নিচ্ছে ততক্ষন এই আন্দোলন চলবে।"