সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। কারণ তিনি মনে করেন, রাজীব কুমার সিবিআই হেফাজতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাদের নাম সামনে চলে আসবে। তাই খুন করা হতে পারে রাজীব কুমারকে।
২০১৩ সালে প্রকাশ্যে আসে সারদা কেলেঙ্কারি। সারদা-তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিলেন, তার প্রধান পদে ছিলেন রাজীব কুমার।তখন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন তিনি। ওই বছরই এপ্রিল মাসে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। সিবিআই এই কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে আসতে থাকে। সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নামও। সারদা মামলায় ইতিমধ্যেই জেল খাটতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে।
সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় সিবিআইয়ের কাছে জানিয়েছেন, তিনি সংস্থার বহুবিধ নথি রাজীবের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। দেবযানীর এমন বয়ানকেই মোক্ষম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে সিবিআই। সেই সমস্ত নথি এবং তথ্য লোপাটে অভিযুক্ত রাজীবকে হন্যে হয়ে খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে আরও কিছু রাঘববোয়ালরা জড়িয়ে রয়েছেন। রাজীব কুমারের বয়ানই তাঁদের ধরার জন্য অকাট্য প্রমাণ হতে পারে।
সোমেন মিত্র এ দিন বলেন, 'সারদা মামলায় রাজ্যের শাসক দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা জেল খেটেছেন। এর আগে রাজীবকে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজীব ধরা পড়লে অনেক রথী-মহারথীর রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। অন্য দিকে সিবিআই রাজীবকে গ্রেফতার করতে যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে তাঁকে মেরে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। সেই জন্যই আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, ওঁকে না মেরে দেয়'!
(সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজফিড থেকে সংগৃহীত)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊