আরিফ হোসেন, কোচবিহার, ৩০শে সেপ্টেম্বর:
বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে এন আর সি এর আতঙ্কে চিন্তিত মানুষ, প্রানহানিও হয়েছে কিছু মানুষের। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিল কোচবিহার রাজ্য। এই কোচবিহার বাসীরা যে ভূমিপুত্র তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রচার, সভা ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নস্যসেখ উন্নয়ন পরিষদ। অবশেষে, আজ ৩০শে সেপ্টেম্বর কোচবিহার জেলাশাসকের দপ্তরে নস্যসেখ উন্নয়ন পরিষদের নেতৃত্ব কিছু দাবিদাবা নিয়ে ডেপুটেশনে হাজার হাজার মানুষ যোগদান করেন। নস্যসেখ উন্নয়ন পরিষদের এই আন্দোলনে কিছুদিন আগেই সাথে থাকার কথা প্রেস কনফারেন্স করে জানান অতুল রায়। এদিন রাসমেলা ময়দান সহ বেশ কয়েকটা এলাকায় প্রথমে জমায়েত হয় দূরদুরান্ত থেকে আসা মানুষজন এরপরেই বিশাল মিছিল নিয়ে মূল রাস্তা ধরে জেলাশাসক দপ্তরে পৌঁছায়। জনসমুদ্রে ছেয়ে যায় কোচবিহার শহর। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে চলতে চলতে থাকে বিভিন্ন দাবিপূর্ন স্লোগান।
নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদ এর দাবি -
১. পিছিয়ে পড়া নস্যসেখ জনজাতীর জন্য একটি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করতে হবে।
২.নস্যসেখ জনজাতীকে ভূমিপুত্র (O.I.) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
৩.পুরোনো সব জমির দলিল কলকাতা থেকে নিয়ে এসে BLRO/RI অফিসে মজুত করতে হবে।
৪. পুরোনো ভোটার তালিকা কোলকাতা থেকে নিয়ে এসে গ্রাম পঞ্চায়েত(GP) অফিসে মজুত করা।
নস্যসেখ পরিষদ উন্নয়নের পক্ষ থেকে জানা যায়, এই সকল দাবিই তাদের মৌলিক দাবি। তাই সকল জনসাধারন আজকের এই ডেপুটেশনে যোগ দান করেছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন নস্যসেখ উন্নয়ন পরিষদের সম্পাদক আমিনাল হক, সভাপতি বজলে রহমান মহাশয় ও কোষাধক্ষ্য সামিম আক্তার, দিনহাটার বিশিষ্ট আইনজীবী আহসান উল আলম সরকার সহ নস্যসেখ উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সকলেই। এদিনের ডেপুটেশনে সামিল হওয়া জনতাদের মধ্যে আব্দুল রফিক জানান, এটা আমাদের মৌলিক দাবি। আমাদের পূর্বপুরুষ দীর্ঘদিন যাবৎ এই ভূমিতেই ছিল। আমরা তাদের সন্তান আমরা ভূমিপুত্র। আমাদের ভূমিপুত্র হিসেবে সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এছাড়াও, আমাদের জনজাতির উন্নতির স্বার্থে একটা বোর্ড গঠন করতে হবে। আমরা এরপরে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। এদিন প্রায় ৫০০০০-৬০০০০ মানুষ ডি এম অফিসের উদ্দ্যেশে রওনা দেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊