প্রতীকী ছবি 
সংবাদ একলব্য, ৭ সেপ্টেম্বর:
বেশ কিছুদিন  ধরে ছেলেধরা আর গলাকাটার আতঙ্কে ভুগছে দিনহাটা মহকুমার গ্রামগুলি। বিশেষত বড়শাকদল, সাহেবগঞ্জ, বামনহাট, শালমারা, বুড়িরহাট প্রভৃতি গ্রাম গুলিতে ছেলেধরা সম্পর্কে বিভিন্ন গুজব চলছে। এ ধরনের গুজবে অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।এ গুজবে মানুষ যাতে কান না দেন এ জন্য দিনহাটা 2 নং সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দিনহাটা ২নং ব্লকের সকল গ্রাম পঞ্চায়েতদের সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বড়শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গ্রাম জুড়ে মাইকিং এর মধ্য দিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার চলছে। এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাননীয় তাপস দাস মহাশয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান " ছেলেধরা/ছাওয়া ধরা একটা গুজব। এব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে প্রত্যেক পঞ্চায়েত সদস্যদের নিজেদের এলাকায় প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।" আগামী সোমবার এবিষয়ে এলাকার বিদ্যালয় গুলির প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে তিনি জরুরি মিটিং করবেন বলে  জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে, অনেক সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ছেলেধরা ভেবে গণধোলাই হয়ে থাকে, এ ধরনের যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে । তাহলে আইন ছেরে কথা বলবে না। বরং কাউকে সন্দেহ হলে নিকটবর্তী থানায় যাতে যোগাযোগ করে। 
এদিকে গতকাল রাত  ৯ টার দিকে বড়শাকদল অঞ্চলের রাখালমারী গ্রামের এক শিক্ষক মাননীয় রাজীব দাসের বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ঢুকে পড়ে। অনেক চেষ্টা করেও লোকটিকে তারা আটকাতে পারেনি। শিক্ষক মহাশয় জানান ঘটনার পর থেকে তিনি খুবই আতঙ্কিত। এ বিষয়ে প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত।

এই সম্পর্কিত অন্য সংবাদ গুলি দেখতে ক্লিক করুন-

“ছেলেধরা" গুজব সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি জারী করলো দিনহাটা ২ নং ব্লক