Sagbad Ekalavya: আজ শিক্ষক দিবস। ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন কে যথাযথ শ্রদ্ধা জানিয়ে, স্কুলের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেও দিনটি কে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ দিবস হিসাবে পালন করছে বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান সংক্ষেপে বিজিটিএ। বিজিটি'র তরফে জানানো হয়েছে যে তারা পশ্চিম বঙ্গের প্রতিটি জেলায় প্রতিতি স্কুলে প্রথাগত চিরাচরিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন,ছাত্রছাত্রীদের শ্রদ্ধার্ঘ ও গ্রহন করবেন কিন্তু তাদের দীর্ঘ দু-,দশকের টিজিটি বঞ্চনা ও ক্যাস ফেসিলিটি'র দাবীতে তারা কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। বিজিটিএ রাজ্য কমিটি সমস্ত জেলা কমিটি কে আজ শিক্ষক দিবসের দিনে কোন প্রকার সরকাররী অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ জারী করেছে। ফলে আজ বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর কোন টিচার-মেম্বার পশ্চিম বঙ্গ সরকার আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না। এব্যাপারে বিজিটিএ'র রাজ্য সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আজ আমাদের কাছে শিক্ষক দিবসের তাৎপর্যটাই আলাদা! আমরা ছাত্রছাত্রীদের সাথে অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি, ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন কে যথাযোগ্য সম্মান ও জানাচ্ছি, কিন্তু সব ধরনের সরকারী অনুষ্ঠান বয়কট করে ও নিজেরা কালো ব্যাজ পরে আজকের দিনটিকে প্রতিবাদ দিবস হিসাবে ও পালন করছি। আমরা এই রাজ্যের গ্র‍্যাজুয়েট টিচার রা আমাদের জন্য নির্ধারিত টিজিটি স্কেল ৯০০০-৪৫০০ ও গ্রেড পে ৪৬০০ থেকে বঞ্চিত, এমন কি কেবল এই রাজ্যের গভঃ স্পনসরড/ এইডেড টিচাররাই কেরিয়ার এডভ্যান্সমেন্ট স্কিম থেকে বঞ্চিত। টিজিটি দেওয়ার ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট রায় থাকলে ও সরকার তার তোয়াক্কাই করছেন না। তাই আজ এই প্রতীকী প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের দীর্ঘতম বৃহত্তর আন্দোলনের সুচনা করে রাখলাম।"
 সংগঠনের সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, "সরকার কে খুব শীঘ্রই আমাদের টিজিটি স্কেল ও ক্যাস ফেসিলিটি দিতে হবে, নইলে আগামীদিনে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।"