দীপ রায়,নদীয়াঃ বৃদ্ধার শরীর যেন নুইয়ে পড়ছে সঙ্গে নাতি অনন্ত। ভিড়ের মধ্যে একটু জিজ্ঞাসা করতেই বললেন ছেলের শরীর খারাপের কথা।বাবাকে মানত করেছেন।এমনি অনেক আশা নিয়ে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের সোমবারে  ভক্তরা জল ঢালতে আসেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের  শিবনিবাসে।১৭৫৭ খ্রি: নির্মিত রাজ রাজেশ্বরী শিব মন্দির ।
এলাকায় বুড়ো শিবের মন্দির বলেই পরিচিত। মন্দিরের মধ্যে রয়েছে কালো রঙের শিবলিঙ্গ।উচ্চতা ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি বেড় ৩৬ ফুট ।সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে জল ঢালতে হয়। এটি পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ। ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই শিবনিবাসের নাম। কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় বর্গী হানার সময় এখানে রাজধানী স্থাপন করেন।
ভক্তরা দলে দলে সুদূর নবদ্বীপ গঙ্গা থেকে রবিবার ঘটে করে প্রায় ৫০ কিমি হেঁটে এই শিবলিঙ্গে সোমবারের জল ঢালেন।তবে এবারের ভিড় চোখে পড়ার মতো ।ভক্তদের সাহায্যে কৃষ্ণনগর থেকে শিবনিবাস পর্যন্ত অনেক বিনামূল্যে খাবারের স্টল করা হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে।এমনই একটি জলছত্রের পরিচালক যাত্রাপুরের পুরের বাসিন্দা বিপ্লব মন্ডল বলেন "ভক্তরা এত কষ্ট করে যেভাবে ঠাকুরের প্রার্থনায়  শামিল তাই আমরা বিনামূল্যে জলছত্রের আয়োজন করেছি।আগামীকাল সোমবার অবধি আমাদের এই জলছত্র চালু থাকবে"।