শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তপ্ত বাংলাদেশ, সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে আগুন
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর:
বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর নেই। গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরের জনবহুল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক সপ্তাহের লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে এই মৃত্যু দেশজুড়ে আশঙ্কার আবহ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস জাতির উদ্দেশে ভাষণে হাদির প্রয়াণের খবর জানান। তিনি হাদিকে “ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের অমর সৈনিক” বলে অভিহিত করেন এবং দেশবাসীকে ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। শনিবার দেশজুড়ে শোকদিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হাদি। গত শুক্রবার নমাজ শেষে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। হামলাকারীদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত।
হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকার রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করে এবং পরে রাতের দিকে নামী সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-এর দপ্তরে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের সামনে আগুন লাগানো হয়। একইসঙ্গে ডেইলি স্টার-এর অফিসেও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মৌলবাদী শক্তির উত্থান রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতাই হাদির মৃত্যুর পেছনে দায়ী। গত বছরের জুলাইয়ে গণ অভ্যুত্থান আন্দোলনে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সক্রিয়তা এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা এই আশঙ্কাকে আরও জোরদার করেছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊