নতুন বছরে মোবাইল রিচার্জের দাম একধাক্কায় বাড়ছে অনেকটা, গ্রাহকদের পকেটে বাড়তি চাপ
২০২৬ সালের শুরুতেই দেশের শীর্ষ টেলিকম সংস্থা জিও (Jio), এয়ারটেল (Airtel) এবং ভোডাফোন আইডিয়া (Vi) তাদের প্রিপেইড ও পোস্টপেইড প্ল্যানের দাম ১৬% থেকে ২০% পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মাসিক বাজেটে বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে।
টেলিকম বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানিগুলি তাদের গড় আয় বা ARPU (Average Revenue Per User) বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। অনেক সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের সস্তা বা এন্ট্রি-লেভেল প্ল্যানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে গ্রাহকদের বেশি দামের প্ল্যান নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
সম্ভাব্য মূল্যবৃদ্ধি
| বর্তমান প্ল্যান | সম্ভাব্য নতুন দাম (+২০%) |
|---|---|
| ₹299 | ₹359 (আনুমানিক) |
| ₹479 | ₹575 (আনুমানিক) |
| ₹719 | ₹863 (আনুমানিক) |
অর্থাৎ, প্রতি মাসে বা তিন মাসে গ্রাহকের খরচ প্রায় ₹60 থেকে ₹100 পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বাৎসরিক হিসেবে এটি একটি বড় অঙ্কে পৌঁছাবে।
একসময় এয়ারসেল, টাটা ডোকোমো বা ইউনিনরের মতো একাধিক সংস্থা থাকলেও এখন বাজার মূলত তিনটি প্রাইভেট কোম্পানির হাতে। সরকারি সংস্থা বিএসএনএল (BSNL) বাজারে থাকলেও তাদের নেটওয়ার্ক এবং ৪জি পরিষেবার ধীর গতির কারণে অধিকাংশ গ্রাহকই প্রাইভেট অপারেটরদের ওপর নির্ভরশীল। এই একচেটিয়া আধিপত্যের সুযোগ নিয়েই সংস্থাগুলি দাম বাড়ানোর সাহস পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্তও চলা সম্ভব নয়। কিন্তু বারবার এই খরচ বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। নতুন বছরে বাড়তি খরচের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে গ্রাহকদের। এখন দেখার বিষয়, এই মূল্যবৃদ্ধি কবে থেকে কার্যকর হয় এবং সাধারণ মানুষ এর মোকাবিলা কীভাবে করেন।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊