বকেয়া ভাতার দাবিতে জলপাইগুড়িতে জাতীয় সড়ক অবরোধ আশা কর্মীদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বকেয়া ইনসেনটিভ বা ভাতার দাবিতে ফের আন্দোলনে নামলেন আশা স্বাস্থ্যকর্মীরা। গতকাল দুপুরে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি জাতীয় সড়কের পাহাড়পুর মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিটু (CITU) অনুমোদিত 'পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন'। এই কর্মসূচির জেরে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁদের প্রাপ্য ইনসেনটিভ বন্ধ হয়ে রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলেও সঠিক সময়ে পারিশ্রমিক না পাওয়ায় চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন তাঁরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বকেয়া মেটানোর দাবিতে তাঁরা বারবার স্বাস্থ্য ভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু বারবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে কোনো সুরাহা হয়নি।
গতকাল দুপুরে কয়েকশ আশা কর্মী পাহাড়পুর মোড়ে জমায়েত হয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভে বসেন। এর ফলে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িগামী দূরপাল্লার বাসসহ অসংখ্য যানবাহন রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এই প্রতীকী অবরোধ চলার পর, সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।
সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদিকা চুমকি দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান:
"ডিসেম্বর মাস থেকে আমাদের ইনসেনটিভ বন্ধ। স্বাস্থ্য ভবনকে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। আমরা সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলতে চাই না, কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে। দ্রুত বকেয়া না মেটানো হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব আমরা।"
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আশা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ কমেনি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে বকেয়া টাকা কবে নাগাদ মিলবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত আশ্বাস মেলেনি।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊