Big Breaking: 'অযোগ্য'দের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করলো স্কুল সার্ভিস কমিশন!
অযোগ্য'দের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করলো স্কুল সার্ভিস কমিশন! আদালত ২০১৬ সালের নিয়োগে অযোগ্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশনকে। আর সেই নির্দেশ মতো এবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করলো স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৮০৬ জনের নাম প্রকাশ করল তারা। ৫৪ পাতার সেই তালিকায় অযোগ্য প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর, বিষয়(যে বিষয়ে তিনি শিক্ষকতা করতেন), বাবার নাম, প্রার্থীর জন্ম সাল প্রকাশ করা হয়েছে। আদালত এভাবেই বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল কমিশন সেই মতোই বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই তালিকা প্রকাশ করলো।
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছিল আদালতের নির্দেশে। সেই তালিকায় থাকা অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল আদালত। সেই তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন। কিন্তু সেই তালিকায় প্রার্থীদের বিস্তারিত বিবরণ ছিল না। এবার আদালত সম্পূর্ণ বিস্তারিত পরিচয় সহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতোই তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২০২৫ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সমস্ত ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ওএমআর শিটগুলি এসএসসির সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।
বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানান, পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে কোনো রকম প্রশ্ন না ওঠে, সেই উদ্দেশ্যেই সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র জনসমক্ষে আনতে হবে। কত নম্বর পেলেন, কোন প্রশ্নের কী উত্তর দিলেন—সব কিছুই যাতে পরীক্ষার্থীরা নিজেরা দেখে নিতে পারেন, তারই ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকে।
শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, সেই বিতর্কিত তালিকাও আদালতে দাখিল করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। কে কোন ভিত্তিতে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, সেই তথ্যেরও স্পষ্টতা আনতে চান তিনি।
এসএসসিকে জানানো হয়েছে এই সমস্ত তথ্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই আদালতে জমা দিতে হবে। নিয়োগে অনিয়ম, স্বচ্ছতার অভাব ও যোগ্যতার প্রশ্নে যে বহু মামলা ঝুলে রয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে আদালতের এই নির্দেশকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আইনজীবী মহলের দাবি, ওএমআর প্রকাশ এবং নিয়োগপত্রপ্রাপ্তদের পূর্ণ তালিকা জমা পড়লে অনেক অন্ধকার অধ্যায় পরিষ্কার হয়ে যাবে, এবং প্রকৃত যোগ্যদের প্রতি অবিচার হলে তা চিহ্নিত করাও সহজ হবে।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আগামী শুনানির দিকে এখন সকলের নজর।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊