TET না পাস করায় বরখাস্ত দুই শিক্ষককে সুপ্রিম কোর্টের স্বস্তি, অবিলম্বে পুনর্বহালের নির্দেশ
নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর: শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (TET) না পাস করার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া দুই সহকারী শিক্ষককে অবশেষে স্বস্তি দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত উত্তরপ্রদেশের ভূতির জোয়ালা প্রসাদ তিওয়ারি জুনিয়র হাই স্কুলের দুই শিক্ষক—উমাকান্ত ও অপর এক জন—এর বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে তাদের পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৮ সালে TET সার্টিফিকেট না থাকার কারণে জেলা শিক্ষা আধিকারিক (BSA) তাদের চাকরি বাতিল করেছিলেন। যদিও দুই শিক্ষকই পরবর্তীতে সরকার নির্ধারিত গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যে TET পাস করেন। একজন ২০১১ সালের নভেম্বরে এবং অন্যজন ২০১৪ সালের মে মাসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট ত্রাণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানায়, “৩১ মার্চ, ২০১৯ সালের মধ্যে TET পাস করার শর্ত পূরণ করেছেন আপিলকারীরা। তাই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।”
আদালত আরও জানায়, শিক্ষকরা শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯ (RTE Act) অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ২০১১ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তারা ২০১২ সালের ১৭ মার্চ চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু TET সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের চাকরি বাতিল করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি না, কীভাবে বরখাস্তের তারিখে তাদের অযোগ্য বলা হয়েছে, যখন তারা ২৪ মার্চ, ২০১৪-এর মধ্যে TET পাস করেছেন।”
এই রায়ের ফলে বহু শিক্ষক, যারা গ্রেস পিরিয়ডে TET পাস করেছেন কিন্তু চাকরি হারিয়েছেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে উঠতে পারে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊