এই ৫০-৩০-২০ বাজেট নিয়ম জেনে নিন, আর নিজের আর্থিক অবস্থাকে মজবুত করুন
কলকাতা, ১ নভেম্বর: ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়, ঋণের চাপ এবং ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের চাহিদার মাঝে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা অনেকের কাছেই কঠিন হয়ে উঠেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি জনপ্রিয় ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতি হল ৫০-৩০-২০ বাজেট নিয়ম, যা আপনার মাসিক আয়কে তিনটি বিভাগে ভাগ করে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫০-৩০-২০ বাজেট নিয়ম কী?
এই নিয়ম অনুসারে, আপনার মাসিক টেক-হোম আয় তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়:
- ৫০% প্রয়োজনীয় খরচে: যেমন ভাড়া, মুদিখানা, ইউটিলিটি বিল, পরিবহন, EMI ইত্যাদি।
- ৩০% চাহিদার খরচে: যেমন বাইরে খাওয়া, কেনাকাটা, ভ্রমণ, বিনোদন।
- ২০% সঞ্চয় ও বিনিয়োগে: যেমন SIP, মিউচুয়াল ফান্ড।
কীভাবে এই নিয়ম প্রয়োগ করবেন?
- প্রথমে আপনার মাসিক টেক-হোম আয় নির্ধারণ করুন।
- তারপর খরচগুলো শ্রেণীবদ্ধ করুন—প্রয়োজনীয়, চাহিদা ও সঞ্চয়।
- যদি প্রয়োজনীয় খরচ ৫০% ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সাশ্রয়ী পরিষেবা বেছে নেওয়া বা অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর চেষ্টা করুন।
- মাসের শুরুতেই স্বয়ংক্রিয় সঞ্চয় চালু করুন, যাতে অতিরিক্ত ব্যয় রোধ করা যায়।
এই নিয়ম কেন কার্যকর?
- এটি বর্তমান চাহিদা ও ভবিষ্যতের লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ব্যয় সীমিত না করে, সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহ দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মাসিক আয় ₹১,০০,০০০ হয়:
- ₹৫০,০০০ যাবে প্রয়োজনীয় খরচে,
- ₹৩০,০০০ যাবে চাহিদার খরচে,
- ₹২০,০০০ যাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগে।
কার জন্য উপযোগী?
- তরুণ পেশাদার, যারা ক্যারিয়ার শুরু করছেন।
- মধ্যবয়সী ব্যক্তি, যারা আর্থিক শৃঙ্খলা উন্নত করতে চান।
- পরিবার, যারা মাসিক বাজেটের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊