চাঞ্চল্যকর এনজেপি হোটেল কাণ্ড: রহস্যের অবসান হলেও প্রশ্নের মুখে তদন্ত, গ্রেফতার 'প্রেম'
নিউ জলপাইগুড়ি: নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) সংলগ্ন একটি হোটেলের ঘর থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অবশেষে রহস্যের অবসান হলেও, চাঞ্চল্যকর নতুন তথ্যের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তদন্তকারীরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে পুলিশ মৃতার রহস্যময় সঙ্গীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, এখনও পর্যন্ত মহিলার শিশুটির কোনও হদিশ মেলেনি।
হোটেল রেজিস্টারে নিজের নাম 'পুজা দাস' লিখেছিলেন মৃত ওই মহিলা। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, তাঁর আসল নাম সাবি কুমারি, বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার মাড়া পাড়ায়, যেখানে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর সাবি বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কুমেদপুর থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসে তাঁর পরিবার মৃতদেহ শনাক্ত করে।
এনজেপি হোটেল কাণ্ডে এখন সবচেয়ে বড় মোড় হলো— সাবির সঙ্গে হোটেলে থাকা রহস্যময় সঙ্গীকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম চেতনারায়ন দাস ওরফে প্রেম (২৯), বাবার নাম পঞ্চানন্দ দাস, বাড়ি বিহারের পুয়াল এলাকায়। এনজেপি থানার পুলিশ তাঁকে ইতিমধ্যেই জালে তুলেছে।
এই গ্রেফতারির পরেও সবথেকে বড় প্রশ্নটি এখন এনজেপি এবং কুমেদপুর এলাকার স্থানীয়দের মুখে মুখে ঘুরছে: "কোথায় গেল সেই শিশু?"
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চেতনারায়নকে নিবিড়ভাবে জেরা করা হচ্ছে। সেই জেরার মাধ্যমেই শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা এবং উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, পুলিশ দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে এই রহস্যের পুরোপুরি সমাধান করবে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊