বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, পাহাড়ে তুষারপাত— আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন
ভারতের আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ অঞ্চল দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পথে, যার প্রভাবে ২৭ অক্টোবর থেকে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে টানা তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে, উত্তর ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে তুষারপাত ও বৃষ্টির ফলে শীতকাল আগেভাগেই শুরু হয়েছে।
ভুবনেশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে এটি একটি নিম্নচাপ, ২৬ তারিখে তীব্র নিম্নচাপ এবং ২৭ অক্টোবর সকালে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস। যদিও ঝড়টি কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে ওড়িশার উপকূলীয় জেলাগুলিতে ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ওড়িশার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি জানিয়েছেন, সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, “অক্টোবর মাস সাধারণত ঘূর্ণিঝড় প্রবণ, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
পশ্চিমবঙ্গেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ায় বজ্রপাতের সতর্কতা রয়েছে ২৮ তারিখে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলাতেও ২৯ ও ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের উচ্চভূমিতে তুষারপাত ও বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। হিমাচলে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় হওয়ায় ২৭ অক্টোবর বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শিমলা আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। তাবো, মানালি, কুফরি, ধর্মশালা সহ বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ২ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ও বদ্রীনাথের পাহাড়ে তুষারপাত হয়েছে, যার ফলে হর্ষিল, যোশীমঠ ও উত্তরকাশীতে ঠান্ডা বেড়েছে। তবে শুক্রবার আবহাওয়া মনোরম ছিল।
দক্ষিণ ভারতের কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে, জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এবং নদীর জলস্তর বেড়েছে। পালাক্কাদ ও ত্রিশুর জেলার বাঁধগুলির শাটার খুলে দিতে হয়েছে। তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, কান্নুর ও কাসারগোদে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊