জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও নিয়োগে ‘হোল্ড’, ট্রেনিং থেকে বাদ — ন্যায়বিচারের দাবিতে ডিএম অফিসে মিনতি পাল মন্ডল
আশা কর্মী হিসেবে বোলপুরের বাহিনী পাঁচশোয়া অঞ্চলে নিয়োগ হয়েছিলেন মিনতি পাল মন্ডল। সিলেকশনের পর তাকে জয়েনিং লেটার ও এনগেজমেন্ট লেটার—উভয়ই প্রদান করা হয়। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও তিনি কাজ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।
তার দাবি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যিনি তার অপোজিট ক্যান্ডিডেট ছিলেন, সম্ভবত তিনিই আপত্তি জানিয়েছেন। আর সেই আপত্তির কারণেই তাকে ‘হোল্ড’ করে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন মিনতি দেবী। ফলে তাকে ট্রেনিংয়ে ডাকা হয়নি। ইতিমধ্যেই ট্রেনিং শুরু হয়ে গেলেও তার কাছে কোনো নোটিস বা তথ্য পৌঁছায়নি।
তিনি অভিযোগ করেছেন “জয়েনিং লেটার দেওয়ার পরও যদি কাজেই না নেবে, তাহলে আমাকে জয়েন করানো হলো কেন? আমার এলাকার মানুষ, আত্মীয়-স্বজন সবাই জেনে গেছে যে আমি কাজটা পেয়েছি। এখন যদি কাজটা না পাই, তাহলে মান-সম্মান কোথায় থাকবে? সরকার ভুল করলে তার দায় আমি নেব কেন?”
তার কাছে সব নথিপত্র রয়েছে যেমন ইন্টারভিউ কল লেটার, এনগেজমেন্ট লেটার, জয়েনিং লেটারসহ সমস্ত ডকুমেন্টস।
বোলপুর থানার অন্তর্গত বড়শিমুলিয়া সেন্টারের এই কর্মী মঙ্গলবার, জেলা শাসকের দপ্তরে অভিযোগ জানাতে যান। তবে ডিএম সাহেব উপস্থিত না থাকায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি। তিনি দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে জানিয়েছেন, “আমি কাজটা ফিরে পেতে চাই। জয়েনিং লেটার দেওয়া হয়েছে, তাই কাজও আমাকে দেওয়া হোক।”
ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক দপ্তর থেকে কোনো সুরাহা না পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মিনতি পাল মন্ডল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊