জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন দিল্লিতে, ৩০ টির বেশি দেশের সেনাপ্রধান, তাজমহল পরিদর্শন ও ভারতীয় প্রযুক্তির প্রদর্শনী
![]() |
Image: AI |
১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অবদানকারী দেশগুলোর (UNTCC) সেনাপ্রধানদের সম্মেলন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আয়োজনে এই সম্মেলনে ৩০টিরও বেশি দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য—জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির মাধ্যমে মিশনের দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্থলভাগে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৌশলগত সংলাপ।
চীন ও পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব প্রতিবেশী দেশ—বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল—এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও ইতালি, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া সহ একাধিক ইউরোপীয়, এশীয় ও লাতিন আমেরিকান দেশও প্রতিনিধিত্ব করছে।
তিন দিনের কর্মসূচি:
অনেক সেনাপ্রধান অতীতে ভারতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, ফলে এই সফর ব্যক্তিগত পুনর্মিলনের আবহও তৈরি করছে। তাজমহল পরিদর্শনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী দেশীয় অস্ত্র ও প্রযুক্তির প্রদর্শনী করবে, যাতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
অপারেশন সিন্দুর প্রসঙ্গ:
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিন্দুর’ সম্পর্কেও অবহিত করা হবে। ভারত বারবার স্পষ্ট করেছে যে এই অভিযান ছিল সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরিচালিত, কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়।
ভারতের শান্তিরক্ষা ভূমিকা:
ভারত ১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২.৯ লাখ ভারতীয় সৈন্য ৫০টিরও বেশি মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান, লেবাননের মতো কঠিন অঞ্চলে সাহসিকতার পাশাপাশি হাসপাতাল, স্কুল ও রাস্তা নির্মাণ করে মানবিক সেবাও প্রদান করেছেন। শান্তির জন্য ১৮০ জনেরও বেশি ভারতীয় সৈন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
এই সম্মেলন শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ভূমিকা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী। তাজমহল পরিদর্শন ও দেশীয় অস্ত্রপ্রযুক্তির প্রদর্শনী ভারতের ‘সফট পাওয়ার’ এবং ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি’-র নিখুঁত সংমিশ্রণ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊