জাঁকজমকভাবে ফিরল কেষ্টর কালীপুজো, ৬০০ ভরি সোনায় সাজলো প্রতিমা!
বীরভূমে আবারও ফিরে এল ‘কেষ্ট কালী’র পুজো!” তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয় আজ রূপ নিয়েছে ভক্তিময় মন্দিরে। সোনার গয়নায় সজ্জিত মা কালী এবছর অলঙ্কারে সোনার পরিমাণ ছুঁয়েছে প্রায় ৬০০ ভরি!
অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘সোনার দাম যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে আমাদের ভক্তিও।’ এই পুজো এক আস্থা, এক বিশ্বাসের প্রতীক। যা বীরভূমের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে টানা ৪৪ বছর ধরে। সকাল থেকেই কার্যালয়ে ভিড় উপচে পড়েছে, ভক্তদের জন্য রয়েছে মালসাউ ভোগ, প্রসাদ বিতরণ। আর রাতভর চলবে ভক্তিগীত ও মহা আরতি। রাজনীতি ও ভক্তির অনন্য মেলবন্ধন। এ যেন বীরভূমের নিজস্ব উৎসব, কেষ্ট কালির আরাধনা!
প্রতি বছর কালীপুজোয় অনুব্রত উপোস থাকেন। পুজো শেষ হলে সেই উপোস ভঙ্গ হয়। এবারও সেই নিয়ম অক্ষুন্ন আছে। এদিন দুপুরে নীল পাঞ্জাবি পরে বোলপুরের কার্যালয়ে হাজির হন জেলার কোর কমিটির কনভেনার অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, এবার ৬০০ ভরি গয়না থাকছে। ২০২১ সালে গয়নার পরিমাণ ছিল ৫৭০ ভরি। ২০১৮ সালে ১৮০ ভরি, ২০১৯ সালে ২৬০ ভরি, ২০২০ সালে ৩৬০ ভরি গয়নায় সাজানো হয়েছিল প্রতিমা।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “১২ বছর বয়স থেকে মায়ের ভক্ত। পুজো করি। মায়ের কাছে সবারই ভালো চাই। বীরভূম জেলার মানুষ যেন ভালো থাকে, সাধারণ মানুষ যেন ভালো থাকে, সব শ্রেণির মানুষ যেন ভালো থাকে, সব জাতির মানুষ যেন ভালো থাকে।” তিনি আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক মানুষ। তাহলে কি পুজোর দিনগুলিতেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন? অনুব্রত বলেন, “দুর্গাপুজো-কালীপুজোর সময় রাজনীতির কোনও পাঠ মনেই রাখি না।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊