সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়: আগামী ২ বছরের মধ্যে চাকুরিরত শিক্ষকদের পাস করতে হবে TET
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক যুগান্তকারী রায়ে জানিয়েছে যে, শিক্ষক পদে বহাল থাকা বা পদোন্নতির জন্য শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (Teachers Eligibility Test বা TET) পাস করা বাধ্যতামূলক। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই রায় শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যারা দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতা করছেন তাদের মধ্যে।
আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষক পদে বহাল থাকতে বা পদোন্নতির জন্য Teacher Eligibility Test (TET) পাস করা এখন বাধ্যতামূলক। ২ বছরের মধ্যে TET পাস করতে হবে
রায়-এর গুরুত্বপূর্ণ দিক
TET বাধ্যতামূলক: যে সকল শিক্ষকের অবসর নিতে পাঁচ বছরের বেশি সময় বাকি আছে, তাদের TET পাস করা আবশ্যিক
। যদি কোনো শিক্ষক এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন, তবে তাঁকে হয় চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হবে অথবা বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হবে। তবে বাধ্যতামূলক অবসরের ক্ষেত্রে তাঁরা টার্মিনাল বেনিফিটস বা অবসরের সুবিধা পাবেন । ব্যতিক্রম: যেসব শিক্ষকের অবসর পর্যন্ত পাঁচ বছরের কম সময় বাকি আছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না
। তাঁরা TET ছাড়াই চাকরি চালিয়ে যেতে পারবেন, যদি না তাঁরা পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন । পদোন্নতির জন্য TET বাধ্যতামূলক: পদোন্নতির জন্য আবেদনকারী সকল শিক্ষকের, চাকরির সময়কাল নির্বিশেষে, TET পাস করা আবশ্যক
। শিক্ষক নিয়োগ: RTE আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে (২০১০ সালের ২৩শে আগস্ট) নিযুক্ত সকল শিক্ষকের জন্য TET পাস করা বাধ্যতামূলক
।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এই রায়টি মূলত Anjuman Ishaat-e-Taleem Trust v. The State of Maharashtra & Ors মামলার ভিত্তিতে এসেছে
১. শিক্ষকের নিয়োগের জন্য TET বাধ্যতামূলক কিনা
২. TET-এর বাধ্যবাধকতা সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কিনা
পূর্ববর্তী রায় এবং বর্তমান রায়ের মধ্যে পার্থক্য
আদালত Pramati Educational and Cultural Trust v. Union of India মামলায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে
আদালতের মতে, সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির অধিকার সংবিধানের ৩০ নং অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষিত হলেও, এটি তাদের এমন নিয়ম থেকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেয় না যা শিক্ষার মান নিশ্চিত করে
শিক্ষক সমাজের প্রতিক্রিয়া
প্রাইমারি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক, সুনীল প্রধান, এই রায়ের ফলে লক্ষ লক্ষ শিক্ষকের মানসিক উদ্বেগের কথা বলেছেন
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহন, ভবিষ্যতের জন্য কয়েকটি বিষয় বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছেন
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊