আবারও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিললো বামনহাটে !
কোচবিহার: কোচবিহার জেলার বামনহাট ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতাসুরকুঠি গ্রামে আবারও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মেলায় এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসন, উভয়ই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছে।
আজ, কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) হিমাদ্রী কুমার আরি একটি দল নিয়ে বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন। তিনি প্রথমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিক্যাল অফিসারদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি ডেঙ্গুকে একটি সাধারণ জ্বর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, এটি সামান্য একটি জ্বরের মতোই।" তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সকলের সম্মিলিত সচেতনতাই এই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।
বর্ষাকালে চারদিকে জল জমে থাকার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে তিনি জানান। এই পরিস্থিতিতে তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন: বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন জল না জমে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি, সামান্য জ্বর হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকার মানুষের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে জ্বরগ্রস্ত রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য শিবিরগুলি লাগাতার চলবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
বৈঠকের পর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বাতাসুরকুঠি প্রাইমারি স্কুলে চলা স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে যান। সেখানে তিনি আশা কর্মীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এলাকার বাড়িগুলো ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খোঁজ নেন। তিনি বাড়ির মালিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা বর্মন এই পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেও, স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় তিনি আশাবাদী। তাঁর মতে, স্বাস্থ্য দপ্তর এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় খুব শীঘ্রই এলাকা ডেঙ্গু মুক্ত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊