ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় সহ একাধিক বিষয় বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স (Immigration and Foreigners Exemption Order 2025) অর্ডার, ২০২৫’ জারি করেছে, যা কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির বিদেশি নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট ও ভিসার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় প্রদান করে। এই আদেশটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে এবং এটি ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫’ ও সংশ্লিষ্ট ‘রুলস’-এর আওতায় পরিচালিত হবে।
Immigration and Foreigners Exemption Order 2025:
১. সরকারি ও সামরিক কর্মচারীদের জন্য ছাড়:
ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা যদি সরকারি দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করেন, তাহলে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পাসপোর্ট ও ভিসার প্রয়োজনীয়তা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২. নেপাল ও ভুটানের নাগরিকদের জন্য ছাড়:
নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরা স্থল বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশ করলে তাদের জন্য পাসপোর্ট বা ভিসা বাধ্যতামূলক নয়। তবে এই ছাড় শুধুমাত্র প্রকৃত নেপালি বা ভুটানি নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।
৩. ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ ছাড়:
যেসব বিদেশি নাগরিক বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে নেপাল বা ভুটানে সরাসরি যাতায়াত করছেন, তাদের জন্য ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্টের বাধ্যবাধকতা নেই।
চীন, ম্যাকাও, হংকং ও পাকিস্তান ছাড়া অন্য যেকোনো দেশ থেকে বৈধ পাসপোর্টসহ আগত বিদেশি নাগরিকরাও এই ছাড়ের আওতায় পড়বেন।
৪. ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানবিক ছাড়:
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা যদি ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তারা পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।
তবে, তাদের অবশ্যই সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করতে হবে এবং বৈধ বসবাসের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
এই আদেশের আওতায় যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের পর কাগজপত্র যাচাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আদেশের মাধ্যমে মানবিক, কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রয়োজন বিবেচনা করে বিদেশি নাগরিকদের জন্য একটি নমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে।
‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স (এক্সাম্পশন) অর্ডার, ২০২৫’ আদেশটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও মানবিক দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবেশের পথ সহজ করেছে। এটি ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊