‘হুলিগানিজ়ম’-এর মঞ্চে অনির্বাণ, তিন ঘোষকে নিয়ে ভাইরাল গান
র্যাপের ছন্দে, ব্যান্ডের তালে, আর রাজনৈতিক স্যাটায়ারের ঝলকে রবিবার সন্ধ্যায় মঞ্চ কাঁপালেন অভিনেতা-গায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তাঁর নতুন ব্যান্ড ‘হুলিগানিজ়ম’-এর শোতে গান গেয়ে একেবারে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন তিনি। গানেই এক সুতোয় গেঁথে ফেললেন তিন ঘোষকে—কুণাল ঘোষ, দিলীপ ঘোষ এবং শতরূপ ঘোষ।
গানের লাইনে লাইনে রাজনৈতিক ইঙ্গিত নয়, সরাসরি নাম করে কটাক্ষ। “এসব গান বাজনা ছাড়, চল প্রোমোটারি করি, বড় গাড়ি চড়ি, ইলেকশনের মেজাজ বুঝে দলটা বদল করি!”—এই লাইন মঞ্চে বলতেই দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা প্রাঙ্গন। এরপরেই অনির্বাণ বলেন, “রেগে যাবে… রেগে যাবে… রেগে যাবে কুণাল ঘোষ!”
তবে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারে ভিন্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটির ক্লিপিং পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আমার মজা লেগেছে, ভালো লেগেছে। গানের ধরন, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। একটু তির্যক? তাতে কী! কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভালো থেকো অনির্বাণ।”
গানের পরবর্তী অংশে উঠে আসে দিলীপ ঘোষের নাম—“দাদা খুবই রোম্যান্টিক। ঘোষ দিয়ে যায় চেনা। গয়না-দোকান সব তুলে দাও গরুর দুধে সোনা!”
এরপর সহ-শিল্পীর গলায় শতরূপ ঘোষের প্রসঙ্গ—“টিভির চ্যানেল পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি। তাই কিনেছে গাড়ি। দামটা বেশি খুব, ফেসবুকেতে রাজা মোদের দাদা শতরূপ।”
সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, “নতুন একটা গানের ব্যান্ড যেভাবে সোশ্যিও পলিটিক্যাল স্যাটায়ার করল সেটা আমার খুব ভাল লেগেছে। শিল্প তো একটা আয়না। আমাদের সমালোচনা শিল্পের মাধ্যমে উঠে আসতেই পারে।”
এদিকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, “এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।”
গানটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ বলছেন ‘সাহস আছে’, কেউ আবার দেখছেন বাঁকা চোখে। তবে বিতর্কের মাঝেও অনির্বাণের ব্যান্ড ‘হুলিগানিজ়ম’ যে আলোচনার কেন্দ্রে, তা বলাই যায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊