শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা: চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য গ্রুপ C ও D পদে নিয়োগের পরিকল্পনা
সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হওয়া শিক্ষক ও অশিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি শান্তিতে নেই। যাদের চাকরি গিয়েছে, আইন মেনে তাদের জন্য পদক্ষেপ করছি।” তিনি জানান, যেহেতু এই ব্যক্তিরা শিক্ষক পদে পুনর্বহাল হতে পারবেন না, তাই রাজ্য সরকার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাদের জন্য গ্রুপ C ও গ্রুপ D পদে নিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার মূল বিষয়বস্তু:
- আগামী ২–৩ মাসের মধ্যে গ্রুপ C ও গ্রুপ D পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
- যাঁরা শিক্ষক পদে অযোগ্য বলে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
- নিয়োগ হবে আইনি পথে, যাতে ভবিষ্যতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে।
- মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, “ওরা শিক্ষক হতে পারবেন না। কিন্তু গ্রুপ C ও D পদে যাতে সুযোগ পায়, তা নিয়ে কাজ করব।”
প্রশাসনিক প্রেক্ষাপট:
২০১৬ সালের WBSSC নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়। শিক্ষক পদে কিছুজনকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, গ্রুপ C ও D পদে নিযুক্ত অশিক্ষক কর্মীদের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ জীবিকা ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করে, যার আওতায় চাকরিহারা গ্রুপ C ও D কর্মীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—গ্রুপ C কর্মীদের জন্য ₹২৫,০০০ এবং গ্রুপ D কর্মীদের জন্য ₹২০,০০০।
রাজনৈতিক ও সামাজিক তাৎপর্য:
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে এটি প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন, অন্যদিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্য সরকার একদিকে আইনি নির্দেশ মেনে চলার বার্তা দিচ্ছে, অন্যদিকে চাকরি হারানো হাজার হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি রাখছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊