Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

পাকিস্তানের দাবি, 'একটিও যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়নি', পাল্টা তথ্য দিল ভারতীয় বায়ুসেনা

পাকিস্তানের দাবি, 'একটিও যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়নি', পাল্টা তথ্য দিল ভারতীয় বায়ুসেনা

Not a single Pakistani aircraft was hit or destroyed by Indian armed forces, claims Khawaja Asif


২০২৫ সালের মে মাসে সংঘটিত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের পর, দুই দেশের মধ্যে তথ্যযুদ্ধ নতুন মাত্রা পেয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেছেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করতে পারেনি"। এই মন্তব্য তিনি করেন ৯ আগস্ট, শনিবার, সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে।

তবে এই দাবির কয়েক ঘণ্টা আগেই ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংহ জানান, "অপারেশন সিন্দুর"-এর সময় ভারতীয় বাহিনী পাঁচটি পাকিস্তানি ফাইটার জেট এবং একটি বড় সামরিক বিমান ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দূরত্বে সফল সারফেস-টু-এয়ার কিল, প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে একটি বিমান ধ্বংস করা হয়।

অমর প্রীত সিংহ আরও জানান, পাকিস্তানের বেশ কিছু UAV, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়ে, যা সংঘাতের তীব্রতা নির্দেশ করে। তাঁর মতে, পাকিস্তানের AWC হ্যাঙ্গারে থাকা কয়েকটি F-16 যুদ্ধবিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় খোয়াজা আসিফ বলেন, "তিন মাস ধরে ভারত এই ধ্বংসের দাবি করেনি, এখন হঠাৎ করে এই দাবি তোলা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে"। তিনি ভারতকে উভয় দেশের বিমান তালিকা স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের সামনে উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান, যাতে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়। তাঁর দাবি, ভারতের ক্ষয়ক্ষতি ছিল সীমান্তে অনেক বেশি, এবং পাকিস্তানও ছয়টি ভারতীয় বিমান ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রাফাল রয়েছে।

এই সংঘাতের সূচনা হয়েছিল ৭ মে, যখন ভারত অপারেশন সিন্দুর চালায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এর আগে ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে এক ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। সংঘাত চলে ১০ মে পর্যন্ত, এরপর দুই দেশ একটি সমঝোতায় পৌঁছায়।

এই ঘটনাপ্রবাহ শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক ও তথ্যযুদ্ধের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমলেও, সত্য-মিথ্যার লড়াই এখনও চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code