পায়ে লিখে মাধ্যমিকে সফল সীমা

Sima


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-

পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক সফল হলো খাণ্ডারীডাঙার আদিবাসী সম্প্রদায়ের সীমা মাড্ডি।সীমা মানকর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সীমার বাবা বুদ্দি মাড্ডি,মা লক্ষ্মী মাড্ডি পেশায় দিনমজুর।চার বোনের মধ্যে সীমা মেজো,সীমার বোন‌ও মানকর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।সীমা শারীরিক অসুস্থ তার কারনে বোনের সাইকেলে চেপে স্কুলে য়ায।সীমার অদম্য ইচ্ছা শক্তি দেখে পাশে দাঁড়িয়েছেন‌ শিক্ষক শিক্ষিকারা।সীমা চায় আরো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে।অভাবি সংসারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে কি করে মেয়ের পড়াশোনা চালাবেন সেই ভেবেই দিশেহারা পরিবার। পরিবারের আবেদন সরকার যদি পাশে থাকে তবে মেয়ের পড়াশোনা আরো এগিয়ে যেতে পারবে।

সীমা তিন মাস বয়সেই হাড়িয়েছে শারীরিক ক্ষমতা।তবুও হার মানেনি সে। দুই পায়ের সাহায্য খাতা,ব‌ইয়ের পাতা উল্টে,পায়ের দুআঙ্গুলের ফাঁকে পেন রেখে লেখে সীমা।সে ২৩২ নম্বর পেয়ে মানকর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে সফল হয়।সীমা চায় আরো পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে।সীমার কথা জড়িয়ে আসে, তবুও সে বলে পাদিয়ে লিখে মাধ্যমিকে সফল হয়েছে।পড়তে তার ভালোলাগে।আরো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকুরী করবে। শিক্ষক শিক্ষিকারা সকলে তাকে ভালবাসে।বোনোর সাইকেল চেপে স্কুলে য়ায।বাবা,মা দিন মজুরের কাজ করে।




সীমার মা লক্ষ্মী মাড্ডি বলেন জন্মের তিন মাস পর অসুস্থ হয় মেয়ে। হঠাৎই খিঁচুনি ওঠে তার এর পর থেকেই হাত পা অসাড় হয়ে পড়ে।কোনো রকম চলতে পাড়লেও হাতে কোনো জোড় পায়না।ছোটো থেকে নিজেই পায়ে করে লিখতে শেখে। এবছর মাধ্যমিক দিয়েছে সে। মাধ্যমিক ২৩২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ।লক্ষ্মী দেবী বলেন মেয়ে পড়তে চায় কি করে ওর পড়াশোনা চালাবো ভাবছি। যদি সরকারি কোনো সাহায্য পাওয়া যায় তবে ভালো হয়।

সীমার বাবা বুদ্দি মাড্ডি বলেন স্বামী স্ত্রী দুজনেই দিনমজুরির কাজ করি।তাও আবার প্রতিদিন কাজ হয়না।কোনো রকমে সংসার চলে।মেয়ে পড়তে চায় কষ্ট হলেও মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করবো। জানিনা কতো দিন পারবো।সরকারি সাহায্য পেলে ভালো হয়।