আগামীকাল দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া, বাংলার কোথায় কোথায়?

Mock drill




আগামীকাল দেশব্যাপী অসামরিক মহড়া, রয়েছে বাংলাতেও। গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করতে হবে ৭ মে বুধবার দেশজুড়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দেশের ২৭টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় মহড়া করা হবে। বাংলার ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গা হতে চলেছে এই মহড়া।

মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের। অংশ নেবেন জেলাশাসক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, নাগরিক সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডরা। হঠাৎ দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হলে কি করতে হবে, তা নিয়ে এই মহড়ায় সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমান হামলার সতর্কতায় সাইরেন বাজলে কী করতে হবে, হঠাৎ যদি ব্ল্যাকআউট হয়, কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তবে কী করণীয়, তারও মহড়া দিতে বলা হয়েছে।

বাংলার ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গা হতে চলেছে এই মহড়া। বাংলায় মহড়া হবে কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, শিলিগুড়ি, বৃহত্তর কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফারাক্কা-খেজুরিয়াঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেঘলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান,বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদ।

১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই প্রথম দেশজুড়ে এমন অসামরিক মহড়া হতে চলেছে। তবে কি যুদ্ধের পথে হাঁটছে ভারত? উঠছে প্রশ্ন।

মহড়ায় কী করতে হবে

বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা।

নাগরিক, পড়ুয়াদের নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রোটোকলের প্রশিক্ষণ।

হঠাৎ আলো নিবিয়ে দিয়ে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ মহড়া।

গুরুত্বপূর্ণ ভবন, পরিকাঠামো আগে থেকে ঢেকে দেওয়ার প্রস্তুতি।

জরুরি অবস্থায় দ্রুত নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং তা অনুশীলন করা।

নিকটবর্তী বায়ুসেনা ঘাঁটির সঙ্গে কার্যকরী ‘হটলাইন’ সংযোগ স্থাপন।

‘কন্ট্রোল রুম’ এবং ‘ছায়া কন্ট্রোল রুম’ কতটা তৈরি, তারও মহড়া।