ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে ছেদ ! কেন্দ্র সরকারের পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের ডাইরেক্টরেট অফ ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ (ডিজিএফটি) বাংলাদেশ থেকে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদির মতো কিছু পণ্য আমদানির উপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে, এই বন্দর নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের উদ্দেশ্যে পরিবহনকারী বাংলাদেশী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
১৭ মে ২০২৫ তারিখের বিজ্ঞপ্তি নং ০৭/২০২৫-২৬ এর মাধ্যমে জারি করা নির্দেশিকাটি অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে নিম্নলিখিত বন্দর নিষেধাজ্ঞাগুলি বিশদভাবে উল্লেখ করা রয়েছে।
১. বাংলাদেশ থেকে সকল ধরণের তৈরি পোশাক আমদানি কোনও স্থলবন্দর দিয়ে আনার অনুমোদন নেই, তবে এগুলি নহাভা শেভা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই আনার অনুমোদন রয়েছে।
২. ফল/ফলের স্বাদযুক্ত এবং কার্বনেটেড পানীয় আমদানি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী, তুলা এবং সুতির সুতার বর্জ্য, নিজস্ব শিল্পের জন্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত রঙ্গক, রঞ্জক, প্লাস্টিকাইজার এবং গ্র্যানুল ছাড়া প্লাস্টিক এবং পিভিসি তৈরি পণ্য, এবং কাঠের আসবাবপত্র, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের কোনও ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ির এলসিএস -এর মাধ্যমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৩. বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং পাথরের গুড়ো আমদানির ক্ষেত্রে এই বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়
রবিবার সকাল থেকেই এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে। চ্যাংরাবান্ধা বন্দর দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯০টি ট্রাকে পণ্য এই বন্দর দিয়ে ভারতে এবং ভুটানে প্রবেশ করে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও ভারত থেকে রপ্তানি বাণিজ্য এখনই প্রভাবিত হয়নি।
চ্যাংরাবান্ধা শুল্ক দপ্তরের এক কর্তা জানান, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশ দেবে, আমরা সেই নির্দেশ মেনেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করব।” এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊