সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন, এটা বিশ্বাসভঙ্গ ও চুক্তিভঙ্গ, যোগ্য জবাব দিতে হবে: ভারতীয় বিদেশ সচিব 




পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলল ভারত। শনিবার রাত ১১টার কিছু আগে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, “গত কয়েক ঘণ্টা ধরে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাও জবাব দিচ্ছে। এই লঙ্ঘন অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এর জন্য দায়ী পাকিস্তান।”

যুদ্ধ বিরতির কয়েক ঘন্টা পরেই ফেরত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। শনিবার রাত ৯টার কিছু আগে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সমাজমাধ্যমে জানান, শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তিনি। সংঘর্ষ বিরতির পরেও কি সংঘর্ষ বিদ্যা লঙ্ঘন? একাধিক জায়গা নতুন করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হয়েছিল ব্ল্যাক আউট। এর কিছু পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জম্মু, উধমপুর-সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বেশ কিছু শহরে ব্ল্যাকআউট করা হয়। শুধু কাশ্মীর উপত্যকাতেই নয়, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অন্য রাজ্যগুলিতেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয় শনিবার রাতে। রাজস্থানের বারমেঢ়, জৈসলমের এবং পঞ্জাবের ফিরোজ়পুর, পঠানকোট, মোগায় ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।

তাঁর কথায়, ”ডিজিএমও স্তরে হওয়া সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ভারতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এটা বিশ্বাসভঙ্গ ও চুক্তিভঙ্গ। সেনা পরিস্থিতির দিকে সর্বদা নজর রাখছে। এর জবাব দিতে হবে।” তাঁর আরও বার্তা, পরিস্থিতি বুঝে পাকিস্তান দায়িত্বশীল আচরণ করুক।


তিনি আরও বলেন, "সশস্ত্র বাহিনী এই লঙ্ঘনের পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে এবং আমরা এই লঙ্ঘনগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আমরা পাকিস্তানকে এগুলি মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার এবং গুরুত্ব ও দায়িত্বের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।"

মিসরির কথায়, সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। "আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যেকোনো ধরণের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে জবাব দেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"।

শনিবার বিকেলে ভারত এবং পাকিস্তান অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু তার পরেও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলল ভারত। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন।