অপারেশন 'সিঁদুর' নিয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
অপারেশন 'সিঁদুর' নিয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে, ইউসুফ পাঠান-সহ কোনও সাংসদকেই না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। দলকে না জানিয়েই কেন্দ্র তৃণমূলের তরফে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলে ইউসুফ পাঠানকে রেখেছিল কিন্তু বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের নাম কেন কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করবে? প্রশ্ন তোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোবস্ত। ইউসুফ পাঠান-সহ তৃণমূলের কোনও সাংসদকেই কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর এরপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর তাতেই সিদ্ধান্ত বদল।
জানা যাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছেন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের জন্য। তৃণমূলের তরফে এই কথা জানিয়ে অভিষেককে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। লেখা হয়েছে, 'আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনিত করেছেন। যিনি বিশ্বের সামনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অংশগ্রহন করবেন। যখন সারা বিশ্বের একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসবাদের ত্রমবর্ধমান হুমকির মোকাবিলা করা প্রয়োজন, তখন অভিষেক অন্তর্ভুক্তি স্পষ্টতই দৃঢ় পদক্ষেপ। তাঁর উপস্থিতি শুধু বাংলার সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানকে তুলে ধরবে না, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সম্মিলিত কণ্ঠকে আরও জোরদার করবে।'
পাকিস্তান কীভাবে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিচ্ছে, ভারত কীভাবে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জিরো-টলারেন্স নীতি নিয়েছে তা তুলে ধরতে দেশে দেশে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রতিনিধি দলের অংশ হবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। কিন্তু পাঠানকে ছেড়ে অভিষেক কেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক উঠতি তরুণ নেতা। তিনি দেশ, রাজ্য, বিদেশ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহল। সেখানে ইউসুফ রাজনীতিতে নতুন। হয়তো একারণেই পাঠান কে ছেড়ে অভিষেককে পাঠাচ্ছে তৃণমূল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊