রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ সভা
রামপুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সামনে একটি ধর্মীয়, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ প্রতিবাদ মঞ্চ তৈরি করে, জোরালো দাবি নিয়ে ময়দানে নামল পশ্চিমবঙ্গ প্যাসিফিক প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ। সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, এটি একটি সম্পূর্ণ নির্দলীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন, যারা শুধুমাত্র সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
প্রতিবাদ সভায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন রামপুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে থামানো জরুরি। কারণ রামপুরহাট একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট—যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।
শুধু রামপুরহাটই নয়, নলহাটি জংশন ও লোহাপুর রেলস্টেশনেও গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির স্টপেজ চাওয়া হয়েছে। বক্তারা বলেন, "গ্রামীণ ও আধা শহর অঞ্চলের মানুষদের যাতায়াতে সমস্যার কথা ভেবে আমরা এসব স্টপেজ চাচ্ছি।"
সভায় কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বন্ধ হয়ে পড়া বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন পুনরায় চালুর দাবিও জোরালোভাবে তোলা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এসব ট্রেন অবিলম্বে চালু করা উচিত।
এদিন প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানান—যেন যাত্রীসুবিধা ও যুক্তির ভিত্তিতে তাদের দাবিগুলি দ্রুত বিবেচনা করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊