দীর্ঘ ৩৮ বছর চাকরী জীবন সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরলেন জওয়ান, অভিনব উদ্যোগ‌ পরিবারের 

Dinhata news



দীর্ঘ ৩৮ বছর চাকরী জীবন সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরলেন সিআরপিএফ জওয়ান প্রভাত চন্দ্র রায়,খুশির হাওয়া পরিবারে। সিআরপিএফ জওয়ান সাব ইন্সপেক্টর প্রভাত চন্দ্র রায় জানান অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে চাকরি করতে হয়েছে। কখনো ঝাড়খণ্ডে কখনো কাশ্মীরে কখনো পাঞ্জাবে জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রায়দিন গুলি গ্রেনেড ইত্যাদির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। শেষ পোস্টিং ছিলো আমার কলকাতায়। এত কিছুর মধ্যে আমি আমার চাকরী জীবন সম্পন্ন করে সুস্থ সবল ভাবে বাড়ি ফিরতে পেরেছি এটাই আমার জীবনে একটা বড় এচিভমেন্ট। যুব সমাজকে বলবো যারা ভয় পাবে তারা দেশের কাজে লাগবে না। সাহসের সাথে যারা এই পেশায় আসবে তারা সফল হবেই। দেশের জন্য প্রাণ দিতে হবে এই ভাবনা নিয়ে যারা আসবে তারা সফল হবেই। 



এক্স আর্মি নারায়ণ সরকার বলেন আমাদের থেকেও অনেকটাই কঠিন কাজ সিআরপিএফ জওয়ানদের। ওদের অনেক বেশি বিশৃঙ্খল পরিবেশে কাজ করতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাকরি জীবন সম্পন্ন করে সুস্থ সবল ভাবে বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছে এতে আমরা খুব খুশি। অনেকেই মাঝপথে চাকরি ছেড়ে দেয়। কিন্তু অসংখ্য প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও প্রভাত চন্দ্র রায় পিছিয়ে আসেনি। তাই ওর জন্য আমরা খুবই গর্বিত।



মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে দিনহাটা স্টেশনে এসে পৌঁছায় সিআরপিএফ জওয়ান সাব ইন্সপেক্টর প্রভাত চন্দ্র রায়। তাঁকে ঘিরে প্রবল উচ্ছাস স্টেশন চত্বর জুড়ে। মিষ্টিমুখ থেকে শুরু করে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরন করে নেয় পরিবারের লোকজন। এরপর NCC ক্যাডেট দ্বারা সম্মান জানানো হয়। এরপর ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার বাড়ি নাজিরহাটে।



পেশায় শিক্ষক অম্বিকা চন্দ্র রায় বলেন দাদার জন্য আমরা খুবই গর্বিত। দাদা প্রানের ঝুঁকি নিয়ে তার চাকরী জীবন সম্পন্ন করে সুস্থ্যভাবে বাড়ি ফিরে এসেছে। আমরা সকলেই ভীষন খুশি ও গর্বিত। দাদাকে দেখে যুব সমাজ অনেকটাই অনুপ্রাণিত হবে। কঠোর প্রতিকূলতার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি আছে পদে পদে জেনেও দাদা ভলেন্টারি অবসর নেয় নি। সাহসের সাথে চাকরী জীবন শেষ করে আজ বাড়ি ফিরে এসেছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।