চৌধুরীহাট বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসনে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ!
দিনহাটা ২ নং ব্লকের চৌধুরীহাট বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন বর্তমানে অসামাজিক কার্যকলাপের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ বারংবার আবাসনের কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যার দরুন দিন দিন নেশাখোর ছেলেমেয়েদের চারন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই আবাসন চত্ত্বর।
আবাসনের পাশের বাসিন্দা ছায়া মোদক ও কাকলি রায় জানান যে লকডাউনের সময় থেকে এই আবাসন গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আগে এখানে শিক্ষক-শিক্ষিকিরা থাকতেন। কিন্তু বর্তমানে এখানে নেশাখোর ছেলেমেয়েদের আড্ডা স্থলে পরিণত হয়েছে। দিনরাত এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। বাঁধা দিতে গেলে আমাদেরকেই পাল্টা হুমকি দেওয়া হয়। আজকেও দুজন মেয়েকে আমরা তারা করে ভাগিয়েছি এখান থেকে। বারংবার উপর মহলে জানানো হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি আজ পর্য্যন্ত। আমরা সকলেই একটা সুস্থ পরিবেশ চাই।
সেন্ট্রাল ব্যাংকের কর্মী অসীম মজুমদার জানান এতদিন যে সকল নেশার কথা আমরা শুধু শুনেছিলাম সেইসব নেশা এখন এই জায়গায় প্রকাশ্যে করা হয়। পুলিশ বারংবার এখানে রেড করলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। স্থানীয় কিছদের সাহায্যে বহিরাগত ছেলেমেয়েরা এখানে এসে দিন রাত ধরে অসামাজিক কাজকর্ম করে । সামাজিক পরিবেশ দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাড়া প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে সরব রয়েছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব রয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকাশ সরকার বলেন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । পুলিশ বহুবার অনেক যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে। তারপরেও চিত্র বদলায়নি ওই এলাকার। আমরা চাই নতুন কিছু ওই জায়গায় তৈরি করে জায়গাটিকে নেশামুক্ত করা হোক।
বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভবতোষ মন্ডল জানান ওই জায়গায় নেশা করা হয় সে বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল নই। তবে অভিযোগ পেয়েছি ওখানে কিছু কিছু ছেলে আড্ডা মারে। পুলিশ বারংবার সতর্ক করেছে । মাঝে মাঝে এসে পাহারাও দেয়। স্থানীয় মানুষরা যদি প্রতিরোধ গড়ে না তোলে আমরা কি করতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি অতি দ্রুত আবাসন গুলি মেরামত করে বাসযোগ্য করে তোলার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊