সরকারী স্কুলের দেওয়াল ভেদ করে দোকানের চালা, ক্লাসরুমের জানালা দখল করে চুটিয়ে ব্যবসা, নড়েচড়ে বসল প্রশাসন

Burdwan news


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-

সরকারী স্কুলের দেওয়াল ভেদ করে দোকানের চালা, ক্লাসরুমের জানালা দখল করে চুটিয়ে ব্যবসা, নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।

খোদ বর্ধমান শহরের বিসিরোডের ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ক্লাসরুমের দেওয়াল ভেদ করে, স্কুলের ক্লাসরুমের জানালা দখল করে দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিল। বারবার ওই দোকানদার জ্যোর্তিময় মোহন্তকে স্কুলের পক্ষ থেকে জবরদখল সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিণ্টু রায় অবশেষে স্মরণাপন্ন হলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। 


সোমবার প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, এব্যাপারে জেলাশাসক, ডিআই, পুরসভার চেয়ারম্যান এবং বর্ধমান থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুল ছুটি থাকার পর তাঁরা যখন স্কুলে আসেন তখন দেখেন শিবম কনষ্ট্রাকশন নামে ওই দোকানের মালিক জ্যোর্তিময় মোহন্ত স্কুলের প্রাচীর ভেদ করে সেড তৈরী করেছেন। এমনকি স্কুলের ড্রেনকে দখল করে নিয়ে এবং ক্লাসরুমের দেওয়াল ভেঙ্গে,জানালাকে দখল করে নিয়ে তিনি দোকানঘরকে বাড়িয়ে নিয়েছেন। অথচ এব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিই নেই। তিনি জানিয়েছেন, সরকারী স্কুলে এই ধরণের ঘটনা কখনই তাঁরা মানতে পারেননি। এব্যাপারে তাঁরা বারবার ওই দোকানদারকে জবরদখল সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। উল্টে স্কুলের একাধিক শিক্ষকের কাছে বিভিন্ন দিক থেকে ফোন করে এই ইস্যু থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। এমনকি একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য হিসাবে ওই ব্যবসাদারকে স্বীকৃতি দিয়ে এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের ফোন করে জানানো হচ্ছে। 


প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বাধ্য হয়েই তিনি জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। এব্যাপারে এদিন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি সরজমিনে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে, জানা গেছে, মঙ্গলবারই জেলাশাসকও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্কুলে যেতে পারেন। 



অপরদিকে, এব্যাপারে ওই দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে রীতিমত দুর্ব্যবহার করে জানান, তিনি কি করেছেন, কেন করেছেন এই কৈফিয়ত তিনি সংবাদ মাধ্যম কেন কাউকেই দেবেন না। রিতিমত সংবাদ মাধ্যমের লোগো তুলে সংবাদ মাধ্যমকে বেড়িয়ে যেতে বলেন।