ভুয়ো ভোটার তালিকায় ছেয়ে গেছে রাজ্য ! গুরুতর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর, কোচবিহারে পাওয়া গেলো প্রমান! 

ভুয়ো ভোটার তালিকায় ছেয়ে গেছে রাজ্য ! গুরুতর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর, কোচবিহারে পাওয়া গেলো প্রমান!


হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের পর এবার ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগসাজশ করে ভোটার তালিকা কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটার তালিকার অনিয়ম দূর না করে, তাহলে তিনি কমিশনের অফিসের বাইরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্ষোভ করবেন।


কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে প্রমাণ আছে যে বাংলায় উপস্থিত একটি সংস্থা বাংলার ভোটারদের নাম হরিয়ানা, গুজরাট এবং অন্যান্য রাজ্যের লোকদের দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে, যদিও ভোটার আইডি কার্ড নম্বর একই। মমতা দাবি করেছেন যে এটি সরাসরি দিল্লি থেকে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা (বিজেপি) মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে জিতেছে। আপনার দুটি দায়িত্ব - বিজেপিকে হারানো এবং আবার বাংলা জয় করা। আমরা আবার জিতবো। আমরা বাংলা, দিল্লি বা মহারাষ্ট্র নই।

পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলায় ভোটার তালিকায় অনিয়ম তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিজেপি মহারাষ্ট্র ও দিল্লির নির্বাচন কারচুপি করার জন্য ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটারদের নাম যুক্ত করেছে, যাদের বেশিরভাগই হরিয়ানা ও গুজরাটের। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি একই কৌশল খেলছে। মমতা দাবি করেছেন যে ভোটার তালিকায় কারচুপি করে বিজেপি মহারাষ্ট্র ও দিল্লির নির্বাচনে জিতেছে।


তিনি বাংলার জনগণকে ভোটার তালিকা পরীক্ষা করার জন্য আবেদন জানান। এর সাথেই মমতা বলেন, একদিন NRC এবং CAA-এর মাধ্যমে বাংলার প্রকৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হবে। বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করা এবং ভোটার তালিকা থেকে প্রকৃত লোকদের নাম বাদ দেওয়া।


তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ভুয়া ভোটারদের আমরা চিহ্নিত করব। আমরা বহিরাগতদের (বিজেপি) বাংলা দখল করতে দেব না। তিনি বলেন, দিল্লিতে (বিধানসভা নির্বাচনে) বিজেপি যা করেছে, বাংলায় তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে না।


এদিকে আজ কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক কোচবিহারের এক ভোটারের পরিচয়পত্র সামনে এনে দেখিয়েছেন, সেই ভোটারের নাম কেটে একই নাম্বারে উত্তরপ্রদেশের এক ভোটারের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। স্যোসাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি লিখেছেন- "মাথাভাঙ্গা দুই নং ব্লকের ফুলবাড়ী অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ পরিবারের ভোটার আরতি সরকারের নাম কেটে দিয়ে সেই একই এপিক্স কার্ডের নাম্বারে (GTM2358000) উত্তরপ্রদেশের লালগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের দিদারগঞ্জ বিধানসভার ভোটার বিবেকানন্দ প্রভু শংকরের নাম তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আসন্ন বিধানসভায় আরতি সরকারের ভোট দিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিবেকানন্দ প্রভু শংকর আসবেন ফুলবাড়ী অঞ্চলে ভোট দিতে। পরিস্থিতি ভয়ংকর। বাংলার সমস্ত নাগরিক নিজেদের নাম ভোটার তালিকা আছে কিনা একবার ভালো করে দেখে নিন। কোচবিহারে বুথ ভিত্তিক ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি শুরু করুন। আর এক মিনিটও বসে থাকা যায় না।"