দুর্ঘটনার কবলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করলেন প্রধান শিক্ষক

Madhyamik Exam


আবারও একবার সবাই দেখলো মেটেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দরদী প্রধান শিক্ষক মাননীয় কল্যাণদের মানবিক মুখ। এদিন সকাল প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ শেখ মুস্তাকিম নামে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুর্ঘটনা গ্রস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে রীতিমতো চিকিৎসা নিয়ে অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে মেটেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দে-র কাছে হাজির হন এবং দেখা যায় সেই পরীক্ষার্থীর ডান হাতটি ক্ষত-বিক্ষত এবং ব্যান্ডেজ করা। চিকিৎসকরা তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে তিনি পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

এই অবস্থায় কিন্তু সেই পরীক্ষার্থী ভেঙ্গে পড়ে, কারণ তার আর মাত্র দুটো পরীক্ষায় বাকি রয়েছে, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এভাবে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না সেই পরীক্ষার্থী। যে করেই হোক তাকে পরীক্ষা দিতেই হবে এমনই মানসিক পরিস্থিতি তার মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অভিভাবক সহ সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে।এবং মেটেলা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দে তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বিভিন্ন রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

জেলার কনভেনার চন্দন দা থেকে শুরু করে বিএনএসি বীরভূমের মেম্বার অভিজিৎ নন্দন এবং চেয়ারপারসন ডক্টর প্রলয় নায়েক তাদের প্রত্যেক জনের সহযোগিতায় এবং কল্যাণদের তৎপরতায় একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আফসানা খাতুন তাকে রাইটার হিসেবে নিয়ে ছেলেটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেল এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করল এবং মুখ ভরা হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। সকল অভিভাবকরা কল্যাণ দেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

প্রতিক্ষেত্রেই কিন্তু আমরা দেখি মানবিক রূপ এবারও কিন্তু তার অন্যথা হলো না আবারও দেখা গেল দৃষ্টান্তমূলক এক ঘটনা।প্রতিনিয়ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বার্তা প্রেরণ করে চলেছেন। এবার সেই পথকে কিন্তু প্রতিমুহূর্তে অনুসরণ করে চলেছেন সকলেই। সবার সাহায্য নিয়ে এবং সরকারিভাবে একটা পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়াকে সাফল্যমন্ডিত করল । বলা যেতেই পারি এক দৃষ্টান্তমূলক ঘটনার সাক্ষী থাকলো বীরভূম তথা গোটা বঙ্গবাসী।।