হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করলো ইউনূস সরকার, অপরদিকে ভারত সরকার নিলো বড় উদ্যোগ
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি করছে এবং হাসিনাকে কারাগারে ঢোকানোর জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলার বিষয়ে ইউনূস সরকার প্রথমে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এখন তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। অপরদিকে দিল্লিতে বসবাসরত নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। শেখ হাসিনাসহ মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনা ছাড়াও ২২ জনসহ ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ। আর ৭৫ জনের বিরুদ্ধে গত বছর ছাত্রবিরোধী আন্দোলনের সময় খুনের অভিযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর পাসপোর্ট বাতিলের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তে এসেছে। শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আইসিটি। এর মধ্যে রয়েছেন হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান প্রমুখ।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবির মধ্যেই ভারত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা গত আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন, যখন বাংলাদেশে ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে দেশ ছাড়তে হয়। খবরে বলা হয়েছে, ভারত সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে যাতে তিনি এখানে থাকতে পারেন, কিন্তু ভারতে শরণার্থীদের জন্য বিশেষ আইন না থাকায় তাকে আশ্রয় দেয়নি।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ২৩ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছিল। যার কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত সরকার।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ প্রশ্ন তুলেছে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী হবে? এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই বলেছে, শেখ হাসিনাকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিজেই ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান বলেছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের হাতে ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কমিশনের সদস্যরা ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে হাসিনাকে হস্তান্তরের দাবিতে বাংলাদেশ কতটা সফল হয় সেটাই দেখার বিষয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊