Professor Recruitment Rule: অধ্যাপক নিয়োগের নিয়মে আসতে চলেছে বিরাট পরিবর্তন

Professor Recruitment Rule:
photo credit: social media


এখন শুধুমাত্র ইউজিসি নেট (UGC NET) বা পিএইচডি (PhD) থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হতে পারবেন। অধ্যাপক হওয়ার জন্য একই বিষয়ে স্নাতক (UG), মাস্টার্স (PG) এবং পিএইচডি (PhD) করতে হবে। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (NEP) 2020-এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার প্রক্রিয়ায় নমনীয়তা আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করতে উদ্বুদ্ধ করা।


এ ছাড়া এখন গবেষণাপত্রের মূল্যায়ন, স্টার্টআপ, উদ্যোক্তা, উদ্ভাবন, পেটেন্ট, শিল্প অংশীদারিত্ব ইত্যাদি প্রচারে সহায়ক হবে। এ ছাড়া সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য পিএইচডি ও ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হবে। সূত্রমতে, বৈশ্বিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানে ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সাধারণ ডিগ্রি এবং বিষয়ের বইয়ের জ্ঞান গতানুগতিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে পারে না।


প্রবিধান 2018 এ সংশোধনের প্রস্তুতিএই চাহিদা এবং পরিবর্তনগুলি মাথায় রেখে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) তার প্রবিধান 2018 সংশোধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউজিসি রেগুলেশন 2024-এ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক হওয়ার প্রক্রিয়ায় একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে।


১২ বছরের মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক হবেন, তবে পদোন্নতির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া পরিবর্তন হবে। এর উদ্দেশ্য হল মান উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষ, সমাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহের দিকে মনোনিবেশ করা। এটি বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাকে অনুপ্রাণিত করবে। এর পাশাপাশি শিক্ষকরাও নতুন ধারণায় দক্ষ হয়ে উঠবেন।


এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক হতে হলে ইউজি, পিজি ও পিএইচডিতে একই বিষয়ে পড়া দরকার ছিল। কিন্তু NEP 2020-এ, শিক্ষার্থীদের UG, PG-এর সময় মাল্টিডিসিপ্লিনারি পড়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীর প্রতিটি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন হয়। এর আওতায় অধ্যাপক হওয়ার নিয়মে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।


স্নাতকরা কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করলে তারা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক হতে পারবে। এতে যোগব্যায়াম, নাটক, চারুকলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দক্ষতা রয়েছে এমন ব্যক্তিরা অধ্যাপক হওয়ার সুযোগ পাবেন। তারা সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার থাকতে হবে।