Big Breaking: আদালত থেকে আসামী নিয়ে যাওয়ায় পথে আসামীর লুকিয়ে রাখা গুলিতে গুরুতর আহত দুই পুলিশ

Police


প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নেমে আসামীর চাদরের নিচে লুকিয়ে রাখা বন্দুক থেকে এলোপাথারি গুলি দুই পুলিশ কর্মীকে, সাংবাদিকদের জানালেন উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ যাদব




আদালত থেকে আসামী নিয়ে যাওয়ায় পথে আসামীর লুকিয়ে রাখা বন্দুকের গুলিতে গুরুতর আহত দুই পুলিশ

শিলিগুড়ি :

ইসলামপুর আদালত থেকে আসামি নিয়ে যাওয়ার পথে পাঞ্জিপাড়ায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হল দুই পুলিশ কর্মী। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া এলাকায়। জখম দুই পুলিশ কর্মীর নাম নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য।

জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের পথে পাঞ্জিপাড়ার কাছে গাড়িতে থাকা দুষ্কৃতী সাজ্জাদ আলম শৌচাগারে যেতে চেয়ে গাড়ি থামাতে বলে। বারবার সে অনুরোধ করতে থাকায় বাধ্য হয়ে গাড়ি থামায় পুলিশ। সাজ্জাদকে গাড়ি থেকে নামাতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে পরপর গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুই পুলিশ কর্মী নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য। তবে কি ভাবে গুলি চলল তা এখনো জানা যায়নি। জখম পুলিশ দুই পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।

খবর পেয়ে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। গুলি কে চালিয়েছে, তা এখন স্পষ্ট নয়। পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতী সাজ্জাদ গুলি চালিয়েছে, নাকি তার কোনও সঙ্গী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ কর্তারা জানান, জখম দুই পুলিশ কর্মীর চিকিৎসা চলছে। তাদের সঙ্গে কথা বলা গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকে ছক করেই ওই জায়গায় গাড়ি থামাতে চেয়েছিল ওই দুষ্কৃতী।

অপরদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ থেকে পরে আবার দুজন পুলিশ কর্মীকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ মহলে প্রবল উত্তেজনা। শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে ওই দুই পুলিশকর্মীর সাথে দেখা করতে পৌঁছান উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ যাদব।

আইজি রাজেশ যাদব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আসামীর চাদরের নিচে লুকিয়ে রাখা বন্দুক থেকে এলোপাথারি গুলি করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মীকে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নেমেছিল আসামী। কর্তব্যরত পুলিশদের অনেকবার অনুরোধ করে, আসামি যে কারণে তাকে নামানো হয়। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা। তবে কিভাবে আসামীর কাছে বন্ধু গেল তা এখনো জানা যাচ্ছে না। কে বা কারা এর সাথে জড়িত এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।