অবশেষে মিলছে বিদ্যুৎ! কাঁটাতারের ওপারের ১৫০ পরিবার আলোকিত হবে বিদ্যুৎ-এ 

bsf


দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের করলা ও সুকারুরকুঠি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে প্রায় ছয় মাস ধরে প্রায় দেড়শ পরিবারের মানুষজন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে রয়েছেন। সীমান্তের বিএসএফ এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ দপ্তরে বারবার জানানো সত্বেও বিদ্যুৎ সংযোগ হচ্ছে না। ফলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন সীমান্তের মানুষজন। সীমান্তের বিএসএফের নির্দেশে গত আগস্ট মাসে ওই পরিবারগুলির বিদ্যুৎ বিচ্ছেদ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। মঙ্গলবার সমস্যাটি নিয়ে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 



উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও নীতিশ তামাং, গোবরাছড়া- নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা দিনহাটা 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মমতাজ বেগম এবং সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের বিএসএফ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকে করলা এবং সুকারুরকুঠি সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে বাসিন্দাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বিদ্যুৎ অভাবে সেখানকার কৃষকরা সঠিকভাবে চাষবাস করতে পারছেন না বিষয়টিও উঠে আসে।

এদিনের এই বৈঠক শেষে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ ছয় দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। ওই এলাকার বাসিন্দারা যাতে এই বিদ্যুৎ সংযোগ পায় তার জন্য বিএসএফ এবং বিদ্যুৎ দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা আমিনুল খন্দকার, আসাদুল জামান প্রমুখরা বলেন, আমরা কাঁটাতারের বেড়ার উপরের বাসিন্দারা দীর্ঘ বছর ধরে আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছি। আলো এবং গরমের সময় বিদ্যুতের পাখা যেমন চলে, তেমনি জমিতে জল সেচের জন্য বিদ্যুতের দরকার পড়ে। গত ৩ রা আগস্ট বিএসএফ এবং বিদ্যুৎ দপ্তর কাঁটাতারের ওপারের বাসিন্দাদের যে বিদ্যুতের লাইন ছিল তা কেটে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএসএফ এবং বিদ্যুৎ দপ্তরে বারবার দরবার করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ হচ্ছে না। বিদ্যুৎ অভাবে এ বছর বোরো ধানের চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে পাট চাষ নিষিদ্ধ রয়েছে। কাজেই বোরো ধান চাষ না করতে পারলে কৃষকদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। তাদের বক্তব্য, ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে চার পাঁচ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। এই বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কাজেই বিএসএফ এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের উচিত সমস্যাটির দিকে নজর দেওয়া।