ডি.এ সমেত একাধিক দাবীর সাপেক্ষে আজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের 'নবান্ন'তে ডেপুটেশন
গৌতম সাহা, নবান্ন, হাওড়া:
সরকারী কর্মী,শিক্ষক,অধ্যাপক, ডাক্তার,নার্স, গ্রন্থাগার,পঞ্চায়েত কর্মী,কর্পোরেশান কর্মীসহ সমস্ত পেনশনভাগী অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া ডি.এ বঞ্চনার বহর বেড়ে ৩৯% হয়েছে বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল। গতবছর এই সময় কিঞ্চিত ডি.এ ঘোষনা হলেও এবছর ডি.এ হীন হয়েই বড়দিন কাটাতে চলেছে এ রাজ্যের সমস্ত ডি.এ প্রাপক কর্মচারী সমেত পেনশনভোগীগণ।
বিগত দুদিন ধরে নবান্নের দোরগোড়ায় মন্দিরতলাতে লাগাতার দিনরাতব্যাপী অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশের পর আজ বেলা ১২ টা নাগাদ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী ডেপুটেশন দিতে নবান্নে পৌছে যান ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্ত্বে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচজনের প্রতিনিধিদল।
সংগঠনের দাবির সাপেক্ষে মঞ্চে গতকাল উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের এ রাজ্যের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার,উপস্থিত ছিলেন সিপিঅাইএম নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। আজ অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি ।
অবস্থান মঞ্চে রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপস্থিতি নিয়ে কর্মীমহলের একাংশে প্রশ্ন উঠলেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বগণ মনে করেন সরকার তথা শাসকদল তাদের আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য এক এক সময়ে এক এক রাজনৈতিক রং লাগনোর চেষ্টা করেছেন এবং এরপরও তাদের নায্য আন্দোলন কে দমানো যায়নি! বরং বিভিন্ন রঙ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে এসে মিশ্রিত হওয়ায় সাদা রঙ সৃষ্টি হয়েছে। "এটাই হলো সেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যেখানে আপনি যে রঙের চশমা পরে থাকবেন সেই রঙ বেশি দেখবেন, সাদা চোখে দেখুন সাদা দেখবেন। তাই এবারের নবান্ন অভিযানে মন্দিরতলাতে তার অন্যথা হয়নি লাল সবুজ গেরুয়া একমঞ্চে একাকার।" এমনটাই জানালে আন্দোলনকারী নবকুমার ধাড়া ।
ডেপুটেশন সম্পন্ন করে সংগঠনের নেতৃত্ব ভাস্কর ঘোষ মঞ্চে ফিরে এসে ডেপুটেশন সম্পর্কে সামগ্রিক বর্ণনা করেন। তিনি এই ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী বলে জানান।
এই মঞ্চ থেকেই আগামী ২৭ শে জানুয়ারী তাদের শহীদ মিনারে হওয়া অবস্থান কর্মসূচীর দুই বৎসর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে শিয়ালদহ থেকে রানী রাসমণি রোড পর্যন্ত মহামিছিলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কে সামিল হতে অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন তাদের এই আন্দোলন কেবল ডি.এ নিয়েই নয় বরং এ রাজ্যের মানুষের সঠিক ভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরী সহ নিরাপত্তা ও সুশাষণ আদায় করার লড়াই। এ লড়াইয়ে তারা সফল না হওয়া পর্যন্ত ময়দান ছেড়ে যাবেন না। নানা প্রলোভন, নানা রকম শাস্তি, নানা অত্যাচার, শাসানি সত্ত্বেও এই লড়াই তারা চালাবেন। তিনি আরও জানান সুপ্রিম কোর্টে চলা ডি.এ মামলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ পার্টি হতে চলেছে এবং তারা সুপ্রিম কোর্টের সবথেকে নামজাদা উকিল নিয়োগ করতে চলেছেন। এ ব্যাপারে সরকার কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখলেন তিনি। নতুন কৌশল নিয়ে আইনি লড়ায়ের এই কর্মসূচীতে যে এ রাজ্যের সমস্ত কর্মচারি সহ পেনশনভোগীরা আশার আলো খুঁজে পাবেনই তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার অপেক্ষায় নতুন কি কৌশলে তাদের সংগঠন ডি.এ লড়াই এ এক নতুন মাত্রা যোগ করেন তথা আশার আলো সৃষ্টি করেন..... তা সময়ই বলবে!
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊